
বিএনপির বিরুদ্ধে দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে দাবি করেছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। আর এ ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় দলীয় নেতাকর্মীদের সতর্ক থাকার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
বলেছেন, “বিএনপির বিরুদ্ধে বিভিন্ন মহল প্রোপাগাণ্ডা ছড়াচ্ছে। দেশের ভিতরে ও বাইরে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। ষড়যন্ত্র করে বিএনপিকে দমিয়ে রাখা যাবে না। কারণ, বিএনপি জনগণের দল।”
ঝিনাইদহ শহরের জোহান ড্রিম ভ্যালি পার্কের একটি অডিটোরিয়ামে বুধবার বিকালে বিএনপির রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি প্রশিক্ষণ কর্মশালায় তিনি এসব কথা বলেন।
নিজেদেরকে জনগণের আস্থায় নিয়ে যেতে হবে মন্তব্য করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, “নিজেদেরকে শুধরাতে হবে। দেশের প্রতিটি খাত ধ্বংস করে দিয়ে গেছে স্বৈরাচার হাসিনা সরকার। আগামীর সরকারের জন্য দেশ চালানো হবে এক চ্যালেঞ্জ।
“কাজেই, আগামীতে ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী সব দলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। আমরা সবাই ঐক্যবদ্ধ থাকলে দেশে আর ফ্যাসিবাদ ফিরতে পারবে না।”
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নিহত এবং ১৬ বছর গুম-খুনের শিকার ভুক্তভোগী পরিবারের উদ্দেশে তারেক রহমান বলেন, “যারা আন্দোলন-সংগ্রামে শহীদ হয়েছেন তাদেরকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদা দেওয়া হবে। তালিকা করে শহীদ ও আহতদের খোঁজখবর নেওয়া হবে। আমরা বিগত দিনগুলোতে দলীয়ভাবে এসব পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছি। ক্ষমতায় গেলে রাষ্ট্রীয়ভাবে কাজ করার চেষ্টা করব। জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে নিজ নিজ এলাকার সরকারি স্থাপনার নামকরণ করা হবে।”
তিনি বলেন, “১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় কোনো দল বর্ডার টপকে ভারতে আমোদ-প্রমোদ করে কাটিয়েছে। আবার কোনো দল স্বাধীনতা যুদ্ধের বিরোধিতা করেছেন। দেশপ্রেম ঈমানের অঙ্গ। দেশের মানুষের অধিকার রক্ষা করাও এই ঈমানের মধ্যে পড়ে।”
কর্মশালায় জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের ৬৮০ নেতাকর্মী অংশগ্রহণ করেন। প্রথম পর্বে রাষ্ট্র কাঠামো মেরামতের ৩১ দফা ও জনসম্পৃক্তি বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। সকাল ১০টা থেকে শুরু হওয়া কর্মশালায় বিকাল ৪টার পরে তারেক রহমান ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হন। এ সময় তিনি নেতাকর্মীদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।