
পাশাপাশি বৈঠক হবে কি না তা নিয়ে সংশয় থাকলেও যুক্তরাষ্ট্র আগামী সপ্তাহে ইরানের সঙ্গে পরমাণু ইস্যুতে আলোচনায় বসার প্রস্তুতি নিচ্ছে। এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
বুধবার (২৫ জুন), নেদারল্যান্ডসের হেগে অনুষ্ঠিত নেটো সম্মেলনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ট্রাম্প বলেন, “আমরা ইরানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে যাচ্ছি। এটা একটা ডকুমেন্ট হতে পারে, খারাপ হবে না। তবে এটা (চুক্তি) হোক বা না-হোক, তাতে খুব একটা কিছু আসে-যায় না।”
তিনি আরও বলেন, “তাদের (ইরান) পারমাণবিক কর্মসূচি কার্যত ধ্বংস হয়ে গেছে। তাই এখন এ নিয়ে অতটা তাগিদ অনুভব করছি না।”
এই বক্তব্য থেকে ধারণা করা হচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র এখন ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচিকে বড় ধরনের হুমকি মনে করছে না, বরং কূটনৈতিকভাবে একটি নথি বা চুক্তির মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহা করার আগ্রহ প্রকাশ করছে।
আলোচনার স্থান ও প্রতিনিধি দল এখনো অনিশ্চিত
ট্রাম্প তার বক্তব্যে কোথায় এবং কারা আলোচনায় অংশ নেবেন সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানাননি।
তবে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেছেন, “এই আলোচনার বাস্তবায়ন অনেকটাই নির্ভর করছে ইরানের সদিচ্ছার ওপর। তারা যদি সরাসরি আলোচনায় বসতে রাজি হয়, তাহলে বিষয়টি অগ্রসর হতে পারে।”
ওদিকে, ইরানের পক্ষ থেকে এ বিষয়ে এখনও কোনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
বিশ্বপরিস্থিতিতে তাৎপর্য
যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে পারমাণবিক ইস্যুতে দীর্ঘদিন ধরেই টানাপোড়েন চলছে। ২০১৫ সালের পারমাণবিক চুক্তি থেকে ২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্র সরে যাওয়ার পর থেকে সম্পর্ক আরও জটিল হয়ে পড়ে।
সাম্প্রতিক সময়ে মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েল-ইরান উত্তেজনা, রাশিয়া ও চীনের ভূ-রাজনৈতিক সমর্থন, এবং সৌদি আরবের অবস্থানও ইরান সংলাপকে ঘিরে নতুন মাত্রা এনে দিয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ট্রাম্পের সাম্প্রতিক বক্তব্য ইঙ্গিত দিচ্ছে, যুক্তরাষ্ট্র এখন চুক্তির চেয়ে আলোচনার মাধ্যমে প্রভাব বিস্তার ও কূটনৈতিক ব্যবস্থাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।