
গ্রীষ্মের শুরুতেই ইউরোপজুড়ে তীব্র তাপপ্রবাহের আঘাত লাগায় দেশগুলোতে চলমান গরমে ইতিহাসের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড হচ্ছে। স্পেন ও ইংল্যান্ডের মতো দেশগুলোতে জুন মাসেই গরমের রেকর্ড ছুঁয়ে গেছে।
সাধারণত জুলাই-আগস্টের গড়ে দেখা যেত। স্পেনের আবহাওয়া সংস্থা অ্যামেট জানায়, গত জুনে দেশটির গড় তাপমাত্রা ২৩.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে, যা পূর্বের সব রেকর্ডকে ছাপিয়ে গেছে।
ইংল্যান্ডে জুনে গড় তাপমাত্রা ছিল ১৬.৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা রেকর্ড শুরু হওয়ার পর সর্বোচ্চ। সেন্ট জেমস পার্কে ৩৪.৭ ডিগ্রি ও হিথ্রো বিমানবন্দরে ৩৩.১ ডিগ্রি রেকর্ড করা হয়েছে গরমের সর্বোচ্চ হিসেবে। পাশাপাশি, পর্তুগালের মোরা শহরে ৪৬.৬ ডিগ্রি তাপমাত্রা রেকর্ড হয়, যা দেশটির মূলভূখণ্ডের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
এই তাপপ্রবাহের প্রভাবে তুরস্কে দাবানল শুরু হয়ে ৫০ হাজারের বেশি মানুষকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে হয়েছে। ইতালির লোম্বার্ডি ও এমিলিয়া অঞ্চলে তাপজনিত কারণে বাইরে কাজ করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে, যেখানে ইতিমধ্যে দুজনের মৃত্যু হয়েছে। ফ্রান্সে একাধিক স্কুল বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে, আইফেল টাওয়ার পর্যন্ত বন্ধ রাখা হয়েছে, এবং ১৬টি অঞ্চলে লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
গ্রিসের রাজধানী অ্যাথেন্সের আশপাশে দাবানলে বহু বাড়িঘর পুড়ে গেছে। জার্মানিতে তাপমাত্রা ৩৮ ডিগ্রির কাছাকাছি পৌঁছায় এবং রাইন নদীর পানির স্তর কমে যাওয়ায় নৌ চলাচল ব্যাহত হচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই তীব্র আবহাওয়া জলবায়ু পরিবর্তনের ফলাফল, যা আগামী দিনে আরও ভয়াবহ হতে পারে। জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার তুর্ক জীবাশ্ম জ্বালানির ব্যবহার কমিয়ে টেকসই ভবিষ্যতের জন্য কাজ করার আহ্বান জানিয়েছেন।