০৬ জুলাই ২০২৫ , ২১ আষাঢ় ১৪৩২ 

বিদেশ

ইলন মাস্কের রাজনৈতিক দলের নাম ‘আমেরিকা পার্টি’

বাংলা ওয়াচ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১২:১৩, ৬ জুলাই ২০২৫

ইলন মাস্কের রাজনৈতিক দলের নাম ‘আমেরিকা পার্টি’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে প্রকাশ্য বিরোধে জড়িয়ে পড়ার পর নতুন রাজনৈতিক দলের নাম ঘোষণা দিলেন বিশ্বের অন্যতম প্রভাবশালী ধনকুবের ইলন মাস্ক। 

রোববার (৬ জুলাই) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।

শনিবার নিজের মালিকানাধীন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে মাস্ক জানান, তার নতুন দলের নাম “আমেরিকা পার্টি”, যা যুক্তরাষ্ট্রের প্রচলিত দুইদলীয় রাজনৈতিক কাঠামো রিপাবলিকান ও ডেমোক্র্যাটিক পার্টির বিকল্প হিসেবে কাজ করবে।

তবে এখনও পরিষ্কার নয়, এই দলটি যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচন কমিশনে আনুষ্ঠানিকভাবে নিবন্ধিত হয়েছে কি না। মাস্ক নিজেও দলের নেতৃত্ব বা কাঠামো সম্পর্কে বিস্তারিত কিছু বলেননি।

তিনি বলেন, “আমরা আসলে একদলীয় শাসনের মধ্যেই বাস করছি, যেখানে অপচয় আর দুর্নীতির মধ্য দিয়ে দেশকে দেউলিয়া করে দেওয়া হচ্ছে। আজ ‘আমেরিকা পার্টি’ গঠিত হলো, আপনাদের স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেওয়ার লক্ষ্যে।”
মূলত ট্রাম্পের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি থেকেই দল গঠনের চিন্তা করেন মাস্ক। বিবিসি বলছে, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রশাসন থেকে বেরিয়ে আসার পর তার বাজেট পরিকল্পনার তীব্র সমালোচনা করেন মাস্ক। এবং এরপরই মাস্ক প্রথমবার নতুন দল গঠনের ইঙ্গিত দেন।

ট্রাম্পের সেই বিরোধের সময় মাস্ক এক জনমত জরিপ চালান, যাতে তিনি এক্স ব্যবহারকারীদের জিজ্ঞাসা করেন, যুক্তরাষ্ট্রে নতুন রাজনৈতিক দল প্রয়োজন কিনা। শনিবারের ঘোষণায় মাস্ক সেই জরিপের ফলের কথা উল্লেখ করে লেখেন, “২:১ ব্যবধানে মানুষ একটি নতুন রাজনৈতিক দল চায়। এবং তারা সেটা পেতে যাচ্ছে।”

২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় মাস্ক ছিলেন ট্রাম্পের গুরুত্বপূর্ণ সমর্থক। তিনি ট্রাম্পকে পুনঃনির্বাচিত করতে প্রায় ২৫০ মিলিয়ন ডলার ব্যয় করেন। নির্বাচনের পর মাস্ককে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের নতুন একটি বিভাগের — ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি (ডিওজিই) — দায়িত্ব দেওয়া হয়, যার কাজ ছিল বাজেটে বড় ধরনের কাটছাঁট চিহ্নিত করা।

কিন্তু মে মাসে মাস্ক প্রশাসন ছেড়ে দেন এবং ট্রাম্পের ট্যাক্স ও ব্যয়ের পরিকল্পনার সমালোচনা শুরু করেন। ওই পরিকল্পনাটিকে ট্রাম্প “বিগ বিউটিফুল বিল” বলে উল্লেখ করেছেন, সম্প্রতি এটি কংগ্রেসে অল্প ব্যবধানে পাস হয় এবং ট্রাম্প এতে স্বাক্ষর করেন।

বিশাল এই আইনটিতে রয়েছে বিলিয়ন ডলারের ব্যয়ের প্রতিশ্রুতি ও ট্যাক্স হ্রাস, যা আগামী এক দশকে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাটতি প্রায় ৩ ট্রিলিয়ন ডলার বাড়িয়ে দিতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।