১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ৩১ ভাদ্র ১৪৩২ 

শিক্ষা

ধরা ছোঁয়ার বাইরে ইইডির প্রধান প্রকৌশলী আলতাব হোসেন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রকাশিত: ২০:১৯, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ধরা ছোঁয়ার বাইরে ইইডির প্রধান প্রকৌশলী আলতাব হোসেন

গেল রমজানের মধ্যে প্রতিদিন তারাবির নামাজ বাদ দিয়ে রাত ১২-১টা পর্যন্ত অফিস করতেন শিক্ষা প্রকৌশলী অধিদপ্তরের (ইইডি) তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান আর প্রশাসনিক কর্মকর্তা মো. আজিমুদ্দিন। অভিযোগ রয়েছে, প্রধান প্রকৌশলী আলতাব হোসেনের বদলি ও টেন্ডার বাণিজ্যের মূল হোতা এ দুজন। তারা গভীর রাত পর্যন্ত অফিসে বসে বদলির তালিকা তৈরি, বিভিন্ন টেন্ডার বাণিজ্য ও অর্থ সংগ্রহের কাজ করতেন। এর মাধ্যমে তারা ইইডিকে অনিয়মের স্বর্গরাজ্য হিসেবে গড়ে তুলেছেন। 

ইইডি সূত্র বলছে, আলতাব হোসেন দায়িত্ব গ্রহণের পর ১৩২ জনকে বদলি করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে সহকারী প্রকৌশলী—২৭ জন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী—৪০ জন কর্মচারী (নন-টেকনিক্যাল) —২৯ জন, সর্বমোট—৯৬ জন। নির্বাহী প্রকৌশলী বদলি ৩১ জন, সহকারী প্রকৌশলী—২৭ জন, উপ-সহকারী প্রকৌশলী—৪০ জন, কর্মচারী (নন-টেকনিক্যাল) —২৯ জন, সর্বমোট—১২৭ জন। 

অভিযোগ রয়েছে, দায়িত্ব নিয়েই সব জেলায় রাজনৈতিক সফরের মতো প্রধান কার্যালয় থেকে ১০টি গাড়ি এবং একাধিক অফিসার নিয়ে প্রতি বিভাগে ৩০০ জন প্রকৌশলী, ঠিকাদার নিয়ে জনসভা করেন আলতাব হোসেন। এর এতে প্রতি সমাবেশে  খরচ হয় আনুমানিক ১২ লক্ষ টাকা। 

ইইডি সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ভৌত অবকাঠামো উন্নয়ন, নতুন ভবন নির্মাণ, বিদ্যমান ভবনের সম্প্রসারণ ও রক্ষণাবেক্ষণ, মেরামত, সংস্কার এবং আসবাব সরবরাহ করে। এ ছাড়া মাল্টিমিডিয়া ক্লাসরুম ও আইসিটি ল্যাব স্থাপন, ইন্টারনেট সংযোগ, আইসিটি সুবিধা দেওয়ার কাজও করে থাকে অধিদপ্তরটি। 

ইইডির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কর্মকর্তারা বলছেন, ঢাকা, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল, ফরিদপুর,  খুলনা, রাজশাহী, বগুড়া, এবং রংপুর মোট দশটি সমাবেশে নামে প্রধান প্রকৌশলী হাতিয়েছেন এক কোটি বিশ লক্ষ টাকা। এসব সমাবেশ করতে সরকারের এক টাকাও বরাদ্দ না থাকলেও চাঁদাবাজির মাধ্যমে এসব অর্থ তুলেছেন তিনি। । 

অভিযোগের বিষয় জানতে মো. আলতাফ হোসেনের মোবাইল ফোন করা হলেও তিনি সাড়া দেননি।