
কাতারের রাজধানী দোহায় অবস্থিত মার্কিন সামরিক ঘাঁটি আল-উদেইদ-এ ইরানের ইসলামিক রেভল্যুশনারি গার্ড কর্পস (আইআরজিসি) পরিচালিত ক্ষেপণাস্ত্র হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে কাতার। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাজেদ আল-আনসারি এক বিবৃতিতে এ হামলাকে ‘কাতারের সার্বভৌমত্ব, আকাশসীমা এবং জাতিসংঘ সনদের সুস্পষ্ট লঙ্ঘন’ বলে উল্লেখ করেছেন।
আল-আনসারি বলেন, ‘আমরা কাতার রাষ্ট্র হিসেবে আমাদের সার্বভৌম অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা বজায় রাখি এবং আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় এই স্পষ্ট আগ্রাসনের সরাসরি জবাব দেওয়ার অধিকার রাখি।’
তিনি জানান, কাতারের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা ইরানের ছোড়া ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করতে সক্ষম হয়েছে এবং আক্রমণ সফলভাবে মোকাবিলা করা হয়েছে।
মার্কিন প্রতিরক্ষা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ইরান থেকে একযোগে একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কাতার ও ইরাকে অবস্থিত সামরিক ঘাঁটিগুলোর দিকে। সিএনএন-এর একাধিক নিরাপত্তা প্রতিবেদকের বরাতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এবং চিফ অব জয়েন্ট স্টাফ ড্যান কেইন এখন হোয়াইট হাউজের সিচুয়েশন রুমে আছেন এবং পুরো পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছেন। এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, কাতারে অবস্থিত আল-উদেইদ বিমান ঘাঁটিতে হামলার হুমকির বিষয়ে আগে থেকেই সতর্ক ছিল প্রতিরক্ষা বিভাগ।
মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটি হচ্ছে আল-উদেইদ এয়ারবেস, যেটি দোহা থেকে অল্প দূরত্বে অবস্থিত। মাত্র এক মাস আগে, ১৭ মে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এই ঘাঁটি সফর করেন—২০০৩ সালের পর এই ঘাঁটিতে কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের এটি ছিল প্রথম সফর।
সেদিন ঘাঁটিতে সেনাদের উদ্দেশ্যে ট্রাম্প বলেন, ‘আমেরিকাকে নিরাপদ, শক্তিশালী ও স্বাধীন রাখে এমন মানুষদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো ছাড়া উপসাগরীয় সফর অসম্পূর্ণ।’