২৪ জুন ২০২৫ , ৯ আষাঢ় ১৪৩২ 

বিদেশ

ইসরায়েলকে শাস্তি পেতেই হবে: খামেনি

বাংলা ওয়াচ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১০:২৪, ২৩ জুন ২০২৫

ইসরায়েলকে শাস্তি পেতেই হবে: খামেনি

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ইসরায়েলকে শাস্তি দেওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ইসরায়েল ‘বড় ভুল ও বড় অপরাধ’ করেছে। সেই অপরাধের শাস্তি তাদের পেতেই হবে। 

সম্প্রতি মার্কিন হামলার পর খামেনি প্রথমবারের মতো এই কঠোর বার্তা দিয়েছেন।

তার এই বক্তব্য প্রকাশ করা হয় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (আগের টুইটার)। তিনি বলেছেন, ‘জায়নবাদী শত্রু বড় ভুল করেছে, বড় অপরাধ করেছে, তাদের শাস্তি অবশ্যই পেতে হবে এবং তারা বর্তমানে সেই শাস্তি পাচ্ছে।’
গত ১৩ জুন ইসরায়েলি বাহিনী ইরানে হামলা চালায়, এর প্রতিক্রিয়ায় ইরান পাল্টা হামলা শুরু করে। তখন থেকে নিরাপত্তার কারণে খামেনি তার বাসভবন ছেড়ে বাংকারে আশ্রয় নিয়েছেন এবং সরাসরি যোগাযোগ প্রায় বন্ধ করে দিয়েছেন।

৮৬ বছর বয়সী খামেনি শঙ্কিত, যদি ইসরায়েল বা যুক্তরাষ্ট্র তাকে হত্যা করার পরিকল্পনা করে, তবে তা হলে দ্রুত সর্বোচ্চ নেতা নির্বাচন করার নির্দেশনা দিয়ে রেখেছেন তিনি। ইরানের আইনসভা, বিচারব্যবস্থা, নির্বাহী বিভাগ এবং সামরিক বাহিনী সবই খামেনির হাতে কেন্দ্রীভূত।

এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালানোয় ঘটনায় প্রতিবাদ হয়েছে বিশ্বজুড়ে। বিভিন্ন শহরে সাধারণ মানুষ রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন।

ফ্রান্স, পাকিস্তান, গ্রিস ও ফিলিপিন্সের প্রতিবাদকারীরা এই হামলার নিন্দা জানিয়ে বলেছেন, এটি ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধে বড় ধরনের উত্তেজনা সৃষ্টি করেছে।

আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি কে?

আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি হলেন মধ্যপ্রাচ্যের অন্যতম ক্ষমতাধর ব্যক্তি।  প্রায় চার দশক ধরে তিনি ইরানকে শাসন করে আসছেন।  এ সময়ে তিনি যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইলের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন, ইরানের বিতর্কিত পারমাণবিক কর্মসূচি এগিয়ে নিয়েছেন, অভ্যন্তরীণ বিরোধ ও আন্দোলন দমন করেছেন।

সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে খামেনি ইরানের সরকার, বিচার বিভাগ, সামরিক বাহিনী, ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী এবং কুদস ফোর্স–এর ওপর পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ রাখেন।

খামেনি ১৯৩৯ সালে ইরানের পবিত্র নগরী মাশহাদে জন্মগ্রহণ করেন।  তিনি ছিলেন আয়াতুল্লাহ রুহুল্লাহ খোমেনির শিষ্য, যিনি ১৯৭৯ সালের ইরান বিপ্লবের মাধ্যমে দেশটির প্রো-ওয়েস্ট রাজতন্ত্রকে উচ্ছেদ করেন ও ইসলামি প্রজাতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন।