
বিদেশি শিক্ষার্থীদের জন্য ভিসা সংক্রান্ত নীতিমালায় আরও কঠোরতা এনেছে যুক্তরাষ্ট্র। নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, কোনো শিক্ষার্থী যদি অনুপস্থিত থাকেন, কোর্স ছেড়ে দেন বা শিক্ষা কার্যক্রম থেকে নিজে থেকেই সরে যান এবং তা কর্তৃপক্ষকে যথাসময়ে জানান না, তবে তাঁর শিক্ষার্থী ভিসা বাতিল হতে পারে। শুধু তাই নয়, ভবিষ্যতে যুক্তরাষ্ট্রে পুনরায় ভিসার জন্য আবেদন করলেও তা বাতিল হওয়ার ঝুঁকি থাকবে।
এই সতর্কবার্তা সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স-এ (সাবেক টুইটার) যুক্তরাষ্ট্রের ভারতের দূতাবাস থেকে প্রকাশ করা হয়েছে। এতে শিক্ষার্থীদের নিজেদের ভিসার শর্তাবলী সম্পর্কে সচেতন থাকার তাগিদ দেওয়া হয়।
এই নির্দেশনা এসেছে এমন এক সময়ে, যখন ক্যালিফোর্নিয়ার একটি ফেডারেল আদালত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিল সংক্রান্ত ট্রাম্প প্রশাসনের পদক্ষেপ সাময়িকভাবে স্থগিত করেছে। বিচারক জেফ্রি এস হোয়াইট এক আদেশে জানিয়েছেন, মামলার চূড়ান্ত নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত শুধু ভিসার মেয়াদ থাকা বা না থাকার ভিত্তিতে কোনো শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার বা আটক করা যাবে না। তবে যদি কেউ সহিংস অপরাধে দোষী সাব্যস্ত হন বা এক বছরের বেশি কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন, তাহলে তাঁর ভিসা বাতিল হতে পারে।
এদিকে, আন্তর্জাতিক সংবাদ সংস্থা এপির বরাতে জানা গেছে, এ বছরের শুরু থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে ৪,৭০০-এর বেশি আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর পড়াশোনার অনুমতি বাতিল করা হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক ভারতীয় শিক্ষার্থী রয়েছেন। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, আরও ২৯৫ জন ভারতীয় নাগরিককে দেশে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য এই নতুন নীতিমালা বড় ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে। নিয়ম লঙ্ঘনের ফলে ভিসা বাতিল হওয়া এবং পরবর্তী সময়ে যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা শিক্ষার্থীদের জন্য কঠিন বাস্তবতা হয়ে দাঁড়াতে পারে। ফলে সকল আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীর উচিত তাদের শিক্ষাগত ও ভিসা সংক্রান্ত নিয়ম-কানুন মেনে চলা এবং প্রতিটি পরিবর্তনের বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় ও ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষকে অবহিত রাখা।