
গ্রামীণ টেলিকমের সহযোগী প্রতিষ্ঠান ‘সমাধান সার্ভিসেস লিমিটেড’ বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার লাইসেন্স পেয়েছে। এর ফলে প্রতিষ্ঠানটি দেশের ডিজিটাল পেমেন্ট সেবা খাতে পূর্ণাঙ্গভাবে কাজ করার সুযোগ পেল।
এই পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার লাইসেন্স পাওয়ার মাধ্যমে ‘সমাধান সার্ভিসেস’ এখন ই-ওয়ালেট বা ডিজিটাল ওয়ালেট সেবা চালু করতে পারবে, যার মাধ্যমে গ্রাহকরা অনলাইন কেনাকাটা, ইউটিলিটি বিল পরিশোধ, টিউশন ফি প্রদানসহ বিভিন্ন ডিজিটাল লেনদেন সম্পাদন করতে পারবেন। লাইসেন্সটি দেওয়া হয়েছে ২০২৪ সালের নতুন পেমেন্ট অ্যান্ড সেটেলমেন্ট সিস্টেম আইন অনুযায়ী।
প্রতিষ্ঠানটি ২০২১ সালের ১৬ নভেম্বর পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার লাইসেন্সের জন্য আবেদন করে এবং দীর্ঘ যাচাই-বাছাই শেষে ২০২৪ সালের ২৯ সেপ্টেম্বর বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে অনাপত্তিপত্র লাভ করে।
‘সমাধান সার্ভিসেস’-এর পরিচালনা পর্ষদে রয়েছেন ৯ জন সদস্য, যাঁরা সবাই গ্রামীণ টেলিকমের মনোনীত প্রতিনিধি। প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন গ্রামীণ ব্যাংকের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম শাহজাহান, এবং ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্বে রয়েছেন গ্রামীণ টেলিকমের বর্তমান চেয়ারম্যান মো. আশরাফুল হাসান।
এর বাইরে মোবাইলে আর্থিক সেবা (এমএফএম) দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলোও কেনাকাটা, বিল পরিশোধ ও লেনদেন সুবিধা দেয়। বাংলাদেশ ব্যাংকের অনুমোদন পেয়ে ১৬টির মতো ব্যাংক এ সেবা দিচ্ছে।
এগুলো হলো–ব্র্যাক ব্যাংকের বিকাশ, ডাচ্-বাংলার রকেট, ইসলামী ব্যাংকের এম ক্যাশ, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের উপায়, সাউথইস্ট ব্যাংকের টেলিক্যাশ, ওয়ান ব্যাংকের ওকে, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের মাই ক্যাশ, প্রাইম ব্যাংকের প্রাইম ক্যাশ, স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের স্পট ক্যাশ, ট্রাস্ট ব্যাংকের মোবাইল মানি, মেঘনা ব্যাংকের ট্যাপ এন পে। এ ছাড়া রূপালী, ফার্স্ট সিকিউরিটি, বাংলাদেশ কমার্স, এনসিসি ও যমুনা ব্যাংক দিচ্ছে শিওর ক্যাশ সেবা।
বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে জানা যায়, বর্তমানে বাংলাদেশে আটটি প্রতিষ্ঠান পেমেন্ট সার্ভিস প্রোভাইডার লাইসেন্সপ্রাপ্ত, এবং এই খাতে আরও কিছু প্রতিষ্ঠান, যেমন অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ ও চালডাল, লাইসেন্স পাওয়ার জন্য আবেদন করেছে।