১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৫ , ২৬ মাঘ ১৪৩১ 

শিল্প ও সাহিত্য

গুচ্ছ কবিতা

বর্মহীন একাকী সে ওই

অলোক সেন

প্রকাশিত: ২০:১৭, ১৯ জানুয়ারি ২০২৫

বর্মহীন একাকী সে ওই

 

 

একাকী সে ওই  

মহা-প্রতিভার সে বিবিধ দ্বারে ঘুরে ঘুরে
মহা কবিতার ধাঁধা-পথে বহু মারপ্যাঁচ
দেখে দেখে প্রার্থীকে বলেছে শান্ত হও। 

চাহিদার অভিমুখ অশোভন কিরীটীর
থেকে দূরে যায় না যেহেতু,বন্ধ থাক
মাছি ভনভন মধ্য দুপুর দুয়ার। 

আকাঙ্ক্ষা ভিতরে,বাহিরে নির্লজ্জ প্রকাশ তার
হাত ও পা চাটে,বাহানার শব্দহীন মুগ্ধতায়; 
গোলোকে সুন্দর সাধনা যদি বা ব্যর্থ হয়

মনোরথ তবু সেদিকেই ধায়,যদিও সেখানে
শব্দের ঝনঝন,অগণন কুরুক্ষেত্র,আধিব্যাধি
জানে অতীত কান্নার মতন ক্রন্দন নিরবধি। 

প্রকৃতি তবুও রাখে গোপন ভাণ্ডারে বৃক্ষের মিষ্টতা 
একাকী যে থাকে তার-ই লাগি পথ পানে  চাহিয়া। 

 

বর্ম নেই শিরস্ত্রাণ নেই 

ঘোষ বর্ণ থেকে যে শঙ্খধ্বনি তারা
                                    শব্দ-সেতু,
বাতাসের ভার যতটা, ততটা গড়ে ওঠা পথ,
চলাচল ও আকাঙ্ক্ষাগুলি 
কবিতা ক্যান্টিলিভার, স্রোত ভাসমান

দুঃখেরা ব্যাতিব্যস্ত, সান্ত্বনা নেই—
হা জ্বালা, যন্ত্রণা, ভাঙা শব্দ, ভেজাল
                          মিশ্রিত সেতুপথ
অদৃশ্য তরল এসে মায়াপথে বাজে

আদিকে শিরেই রেখে– তুলা যন্ত্রে মাপা—
সেতুর ক্ষমতা কিছু ভাঙা,
কিছু আস-শ্যাওড়া বাকলে জড়িয়ে খাড়া,
আছে মুখ ও মুখোশ,খোরপোশ 
ঘোষ ও অ-ঘোষে যে প্রীতি ও দ্বন্দ্ব

খোলে গুপ্ত দ্বার,হে অবলোকন প্রিয়,দ্যাখো।
বর্ণ ভাঙ্গে,শব্দস্রোত,ভাঙ্গে বর্ম আর শিরস্ত্রাণ
 

কুরুক্ষেত্র    

বহুদূর থেকে ভেসে এল বিহ্বল বাতাস
বিশ্বাস ফিরেছে, ফুল ফুটবেই
ওই তো, অদূরে বসে— সঞ্জীবন।

কারখানা,চাষবাস,মাঠের সবুজ
কথায় কথায় হাওয়া ঘুরে আসে,নামে 
কার্ফু যতই নামুক শহরে বা গ্রামে

ঘরে ঘরে জ্বলে ওঠে মোমবাতি,
দূর থেকে দেখছেন বেদব্যাস আর ভাবছেন
সর্বনাশ,ছায়াচিত্র কোন অতীতের!

 

রচনা  

যজ্ঞ অপূর্ণ রেখে ফিরেছে
মনোরথ
স্থানাংকের ভগ্ন অংশের গায়ে স্থিতাবস্থা,
লেগে থাকে মাস,
তাহার ভিতরে নাচে ধ্বনি থরথর
অসীম আমিষ গন্ধ তার

খোলা তলোয়ার ওই  নক্ষত্রপুঞ্জের
কবিতার;
কাল ও পুরুষের জন্ম চতুর্দশ 
বাজিমাত

আলো ছিটকে এল
টেবিলে,গরম পেয়ালায়

শব্দ যজ্ঞে,হোমে,প্রতি যামে
বিস্ফোরণ