
ফুলেশ্বরীর বাঁকে
এই পথ ধরে একাকী হেঁটেছি কখনও ছিলে তুমি পাশে
নদীদের সাথে কখনও হেঁটেছি গাঙুরকে ভালোবেসে।
হিজল তমাল পারুল বনের ছায়া ঝরা পথ বেয়ে
হেঁটে গেছি আমি যুগ যুগ ধরে এদেশের মাটি ছুঁয়ে।
প্রান্তর ছুঁয়ে ফিরে গেছি আমি নকশীমেঘের দেশে
কখনও ফিরেছি মাটির কুটিরে নীল জোনাকির বেশে।
এ মাটি আমার জন্মজননী এ মাটি আমার মা
এখানেই আমি বারবার আসি, প্রতিবারই নবীনা।
ফুলেশ্বরীর বাঁকে বাঁধা আছে জলেদের কলতান
সুর তাল ভুলে গেয়ে যায় ওরা ঝরা পাতাদের গান।
মনের পাতায় জমেছে ধুলি চোখের পাতায় রাত
এই আমি আজ ফিরবো বলেই বাড়িয়েছি দুটি হাত।
আমাদের এই প্রেমের কবিতা হয়নি তো আজও লেখা
ফুলদি অথবা চিত্রার বাঁকে হবে আমাদের দেখা।
কাঁচপোকা টিপ
আমি কেমন করে মুছবো বলো তোমার স্মৃতি খানি।
যদি উদাস বাতাস শোনায় তোমার গভীর গানের বাণী।
বৃষ্টি এসে এলো মেলো,তোমার কথাই শুনিয়ে গেলো।
পাতার গায়ে ঝিরিঝিরি শিশির যদি নোলক হলো
তখন কি আর কাঁচপোকা টিপ খুলতে আমি পারি।
যতই তুমি দাও না কেন আমার সাথে আড়ি।
রাত জাগা চাঁদ মেঘের ঘরে সোনার দীপের দীপ্তি আঁকে
আসন পাতে ম্লান জোছনা নিথর ঢেউয়ের বুকে।
মন কেমনের সুর বেজে যায় নিরব বীনার ডাকে।
স্মৃতির ঘরে কপাট লাগাই যতই কঠোর করে
মেঘলা রঙের আঁধার জাগে একলা মনের ঘরে।
তোমার ছায়া ঘুরে বেড়ায় আমার সকল কাজে
দুপুরগুলি ম্লান হয়ে যায় কাজ ভোলানোর লাজে।
তোমার কথাই উড়ে বেড়ায় ভূবণ ডাঙার মাঠে
তোমায় কি আর খুঁজতে পারি কোলাহলের হাটে।
যতই তুমি দাওনা কেন আমার সাথে আড়ি
ভালোবাসার কাঁচপোকা টিপ খুলতে কি আর পারি।