
বিভ্রান্তি
দু’টি দ্বিধাবিভক্ত পথ
একে, অন্যকে সহজে মাড়ায় না
যার পিঠে লেখা ক্রসফায়ার ‘চুকনগর’
সে ধর্ষিতও
আলুধালু, বিবস্ত্র
পেয়ারা বাগানে জোঁক, রক্তবর্ণ মাছি
চুষে খায় কিশোরযোদ্ধার আধবোজা চোখ
কালো রাত মূর্ত; পলাতক ও বিমূর্ত
বুদ্ধিজীবী কবরে হিন্দু-মুসলমান
ঘুমায় এককাতারে; আত্মার বিভেদ হয়না
ইতিহাস আশ্চর্য কৃষ্ণচূড়ার মতো লাল!
অন্য পথটি শপথে, পরিধি-বৃত্তে
হা-হা অট্টহাসিতে থাবা বসায় ছেঁড়া মানচিত্রে
উঁকি দেয় বিস্মরণ পথে
দু’টি পথ- দ্বিধাবিভক্ত
কে কার অভিষ্ট থেকে
কতটা ফারাকে বা কতোটা দূরে?
মিথের সমান
পার্কের বজ্রাহত এলোমেলো শিথিল চাহনী, টের পাও?
অথবা যে নির্জন চলে গেছে ফাঁদ পাতা
গন্তব্যহীন ট্রেনের হুইসেলে, টের পাও, তার নিঃশব্দতা?
মার্চের অগভীর জল- উণ্মন কতোটা গভীরে
খুঁজে পাও, তার অপ্রকাশিত শিরা, উপশিরা?
গোপন ঘূর্ণাবর্তে উবু হয়ে এক মাছরাঙা স্রোত
কেন ঠোঁটের আড়ালে রেখে দেয় সতর্ক পাহারা
বয়সের একূল, ওকূলে বোঝো তার মিথ্যে ফারাক?
যে ইষ্ট নাম জপে জপে আনন্দধামে নৃত্য করে যাও
প্রতি স্পর্শে সে চিহ্নিত পরিত্যক্ত মাটি হা-হুতাসে ভোগে
টের পাও, অগ্নিজিভে লেলিহান সে বুলডোজার আতংক?
ঘাসের স্তবকে, ক্রোধ আর বিস্ময়ে কারা যেন
মৃগয়ার বিপরীতে- নিজেরদের গোর খুঁড়ে যায়
টের পাও, চিন্তার মুক্তিতে সময়, যুগপৎ মিথের সমান?
কল্পনাতীত
আয়ুষ্মান, তোমাকে খুঁজিনি
তোমার ভেতরে অন্তর্ধান করে
বিপন্ন স্যানাটোরিয়ামে সাঁতার কেটেছি
তোমারই অহং পাহাড়ে, আত্মজীবনীতে
এক নিঃসঙ্গ সম্পর্ককে সমাধি দিয়েছি!