মধ্যপ্রাচ্যে যখন ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘাত তুঙ্গে, তখন বিশ্বের নজর যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের দিকে। কিন্তু এই সংকট নিরসনে শান্তিপূর্ণ আলোচনার আহ্বান নয়, বরং ‘পুরোপুরি পারমাণবিক কর্মসূচি পরিহার’–এই কঠোর শর্তেই সংঘাতের অবসান দেখতে চান সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প। তার ভাষায়, “কোনও সাময়িক যুদ্ধবিরতি নয়, চাই প্রকৃত সমাধান।”
জি৭ সম্মেলনে অংশ নিতে কানাডায় অবস্থানরত ট্রাম্প ওয়াশিংটনে ফেরার পথে প্রেস বিমানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে বলেন, ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতা পুরোপুরি বিলুপ্ত করা প্রয়োজন। এই সময় তিনি প্রকাশ্যে ইরানে ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলার প্রশংসাও করেন।
ট্রাম্প স্পষ্ট করে জানান, ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ বন্ধ না হলে এই সংঘাত থামবে না। অতীতে আলোচনার চেষ্টার সময়ও তার অবস্থান ছিল একই। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা প্রধান তুলসি গ্যাবার্ড যখন কংগ্রেসে বলেন, ইরান পরমাণু অস্ত্র তৈরি করছে না—তখনও ট্রাম্প তা প্রত্যাখ্যান করেন। তার মতে, “তারা অনেকটাই এগিয়ে গেছে।”
ট্রাম্পের দ্রুত দেশে ফেরার ব্যাখ্যা নিয়ে ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সামাজিকমাধ্যমে লেখেন, “ট্রাম্প যুদ্ধবিরতির চুক্তি চূড়ান্ত করতে ফিরছেন।” কিন্তু ট্রাম্প সঙ্গে সঙ্গেই তা উড়িয়ে দিয়ে বলেন, “আমি যুদ্ধবিরতির জন্য ফিরিনি, চাই এর চেয়েও বড় কিছু।” তিনি ম্যাক্রোঁর সমালোচনাও করেন, “ম্যাক্রোঁ প্রায়ই ভুল করেন।”
এই অবস্থান স্পষ্ট করার পর ট্রাম্প জানান, আলোচনার টেবিলে বসার মেজাজে তিনি নেই এবং সাময়িক বিরতির ধারণাকে তিনি পাত্তা দেন না। তবে সংঘাত কীভাবে তার কাঙ্ক্ষিত পথ অনুসরণ করে শেষ হবে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু না জানিয়ে তিনি বলেন, “পরবর্তী কয়েক দিনের ঘটনাপ্রবাহই নির্ধারণ করে দেবে আমি কী করব।”
