১৩ জুন ২০২৫ , ২৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ 

শিল্প ও সাহিত্য

শ্যামপুর স্টেশন

চরু হক

প্রকাশিত: ১৬:০৩, ১৪ মে ২০২৫

শ্যামপুর স্টেশন

মনের মানুষ গান গায় '
পাথরের নারী নেচে ওঠে
উঠে দাঁড়ায়।
               [তুং সান]
নাচতে নাচতে এক সময় তার পায়ের নুপুর খুলে আসে। খসে পড়ে কনকচাঁপা জড়ানো সাধের খোঁপা। চোখের তারায় কাজলকালো মেঘ যদি জমে ওঠে, তবে কদমতলে কোথা সে  বাঁশি?কোথায় গামছা কাঁধে কৃষ্ণ রাখাল?  মনের মানুষ কোথায় গান গায়? ভাঁটফুলের গাঁয়?

ঘড়ির কাঁটায় সাড়ে চারটা বাজে। মীরা ব্যাগটা কাঁধে ঝুলিয়ে ঝটপট বের হয়ে পড়ে। ভেবে রেখেছিল আজ একটু আগেই বের হবে কিন্তু হঠাৎ করে অফিসের একটা কাজে আটকে যাওয়ায় সময়টা পিছিয়ে যায়।কাজ শেষ করে ফ্রি হতে হতে পৌনে চারটা। ইস পিয়াদের বাসায় পৌঁছতে পৌঁছাতে একদম সন্ধ্যা লেগে যাবে। রোজার মাস, ইফতারের ব্যাপার আছে। রাস্তায় তো আর ইফতার করা যায় না।

দুই তিন মিনিট বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়ানোর পর বাস চলে এলো।  ভাগ্য ভালো বলতে হবে। উঠেই একটা সিট পেয়ে যায়, একেবারে জানালার পাশে। জানালার পাশে বসতে তার খুব ভালো লাগে। চারপাশের গাছগাছালি সবুজ প্রকৃতি গ্রাম, দেখতে দেখতে এক সময় পৌঁছে যাওয়া যায় নিজ শহর ঢাকায়। মীরা ঢাকার মেয়ে। মিরপুর সাড়ে এগারোয় একটা ছোট্ট বাসা নিয়ে তার ছোট দুই ভাই আর বাবার সাথে থাকে। এ জগতের নিদারুন মায়াজাল ছিন্ন  করে মা চলে গেছেন বহুদিন হয়। স্মৃতির পাতায় যেন ধূলির পর ধূলির স্তর জমে গেছে। কচি কলাপাতার মতো মার সবুজ মুখটাও আজকাল কেমন যেন ঝাপসা হয়ে গেছে । সে কত যুগ আগেকার কথা। তাও এসে স্মৃতিরা ডানা মেলে। মায়ের আঁচলের সুবাস ছড়িয়ে দেয় মনের দেউড়িতে,উঠানে উঠানে। ঝড়ো হাওয়ায় মাঠের আম গাছগুলো, সুপরি গাছগুলো যখন প্রচন্ডভাবে তাদের মাথা নাড়তে থাকতো, তখন কি এক বিপুল উত্তেজনায় ছোট্ট মীরাও মাঠের মধ্যে গিয়ে ছোটাছুটি করতে শুরু করতো বাতাসের সাথে পাল্লা দিয়ে। মা ডাকতো ঘরে আসার জন্য আর আম গাছগুলো ডাকত আম কুড়ানোর জন্য। পাগলা হাওয়ার ছোটাছুটির সাথে মায়ের উদ্বিগ্ন মুখে বেনী দোলানো ছোট্ট মীরার পিছু পিছু ছোটার সেই দিনগুলো ঝলক দিয়ে ওঠে মনের দিগন্ত ফুঁড়ে।

আজকের আবহাওয়াটা অন্যরকম। কেমন যেন পথ হারার মত। ঠিক তাকে ভাষার ফ্রেমে বাঁধা যায় না। একের পর এক  ছুটে যাচ্ছে সবুজ ধান ক্ষেত পুকুর মাঠ রাস্তার মানুষ সবজিওয়ালা ছোট ছোট দোকানপাট। রাস্তার ধারের মুচি জুতো সেলাই করছে।  আইসক্রিমওয়ালা বরফকুচি দিয়ে বানানো কমদামী মালাই হাঁকছে। একদম মেইন রোডের ওপর রাস্তার মাঝে বসে অনশন করছে একদল ছেলেপিলে বয়স সতেরো আঠারো হবে।এক যাত্রী উঠে এলো দুটি লাল ঝুঁটি মোরগ নিয়ে। মোরগগুলো নিয়ে বাসে ওঠার সময় সেগুলো জোরে জোরে কককক করছিল কিন্তু বাসে ওঠে কোলের উপর বসার সাথে সাথেই হঠাৎ সব কককানি বন্ধ করে অবাক দৃষ্টিতে চারদিকে তাকিয়ে মানুষ দেখতে লাগলো।লাল মুক্তোচোখে পড়তে চাইছে মানুষের ভাষা। সব দেখতে দেখতে মীরার মনটা কেমন যেন শৈশবে  ফিরে যায়। আহা শৈশব সেই হাওয়াই মিঠাই শৈশব।

ওর বন্ধু পিয়ার বাসা হেমায়েতপুরে, ওখানে যাচ্ছে সে অনেকদিন পর। পিয়ার সাথে কলেজ জীবনে কাটানো আনন্দময় দিনগুলোর স্মৃতিরা কড়া নাড়ে,মুখ বাড়ায়। তন্দ্রায় চোখ জড়িয়ে আসে একসময়।

আপা কই নামবেন?
লিকলিকে চেহারার লোকটাকে হেল্পার বলেই মনে হলো।  প্রশ্ন ছুঁড়ে দেয় তার দিকে।
হেমায়েতপুর।
হেমায়েতপুর? সামনের বাসস্ট্যান্ড। আর তিন চার মিনিটের মধ্যেই পৌঁছাইয়া যাইবেন।

মাঝি ও মাঝি, গানের বোঝা কাঁধে লইয়া তুমি কই যাও?
খেয়া পারানির ঘাটে যাই গো।
এই সইন্ধ্যা বেলা?সূর্যের পিদিম যখন নিবু নিবু?
এই বেলা না গেলে ওর দেখা পাবোনা যে।
তুমি  কই যাও কইন্যা?
মুখে তোমার সাঁঝ আকাশের রক্তলালিমা।আহা, দেখলে পরানডা কেমন ধুক ধুক কইরা ওঠে।
সন্ধ্যার সাঁঝবাতিতে এমন করেই কি আগুন জ্বলে গো? নীচে তার গহীন অন্ধকার?

ভাড়া চুকিয়ে মীরা সামনের দিকে  আগায়। এ বাসগুলো খুব একটা থামায় না। দ্রুত নামতে হবে। কিন্তু একি! সামনের রাস্তায় তাকিয়ে তার চক্ষু চড়কগাছ। চারদিক অন্ধকার হয়ে এসেছে। রাত হয়ে গেল নাকি! না, ঘড়িতে মাত্র ছয়টা বাজে। সন্ধ্যা হতে তো আরো আধা ঘন্টা দেরি। তাহলে? তাহলে আর কি।  ততক্ষণে বাতাসের গর্জন শুরু হয়ে গেছে। বাতাসের তোড়ে গাছগুলো উথাল-পাথাল করে যেন কুর্নিশ করতে চাইছে মা ধরণীকে। মীরার বুক কাঠ হয়ে গেল ভয়ে। একে তো সন্ধ্যা, অচেনা জায়গা। তার উপর কালবৈশাখী ঝড়। কি করবে এখন বুঝতে পারছেনা। নাকি এখানে না থেমে চলে যাবে ঢাকায়। এসব ভাবতে ভাবতে কিংকর্তব্যবিমূঢ় দাঁড়িয়ে থাকে সে। হেল্পার হইচই শুরু করল,
হেমায়েতপুর হেমায়েতপুর। নামেন,নামেন। কই আপা, নামেন না কেন?
কিছু না বুঝেই ব্যাগ নিয়ে বাস থেকে নেমে পড়ে মীরা। বাইরে ধূলার ঝড় শুরু হয়ে গেছে। চারপাশে নিকষ কালো অন্ধকার। কোনভাবে চোখ খুলে চারপাশের লোকদের পিছু নেয়। এক দৌড়ে রাস্তা পার হয়ে  হেমায়েতপুর বাজারে একটা খাবারের দোকানের আশ্রয় মিললো অবশেষে।
শুরু হলো ঝমাঝম বৃষ্টি।  আকাশ ভেঙে বর্ষা নেমেছে। প্রকৃতি আজ মুক্ত, বাঁধন হারা। কোনো শেকলে আজ বাঁধবেনা সে নিজেকে। এ কোন রুদ্রমূর্তি প্রকৃতির! সর্বগ্রাসী আবেগ নিয়ে সে আজ ভাসিয়ে দেবে সমস্ত চরাচর।ভিজিয়ে দেবে সবকটি শুষ্ক , ঊষর হৃদয়।
ছোট্ট একটা মিষ্টির দোকান, তাতে মিষ্টির পাশাপাশি বিক্রি হচ্ছে ইফতারিও। চারদিকে লোকের হুড়োহুড়ি, গাদাগাদি। মীরা কোনোভাবে ঠেসাঠাসি করে এক কোনায় দাঁড়িয়ে থাকে জবুথবু,যেন ভেজা কাক ।আজ সে পড়েছিল গোলাপি রঙের একটা তাঁতের শাড়ি। খুব প্রিয় রঙগুলোর একটা এটা।তাতে সাদা ব্লাউজ।  আরেকটি প্রিয় রং হচ্ছে আসমানি। গায়ের শাড়ি ভিজে একসা।এই ঘিন ঘিনে বাজার না হয়ে এটা  যদি কোনো সবুজ অরণ্য হত তবে তাকে এই বৃষ্টিস্নাত সন্ধ্যায়  নিশ্চয়ই বনদেবী বললে চালিয়ে দেয়া যেত অনায়াসে।  মনটা বিষন্ন হল তার। কিভাবে যাবে এই ভেজা কাপড়ে? কাদায় মাখামাখি পা আর ভেজা আকাশের দিকে চেয়ে থাকতে থাকতে মায়ের কথা মনে পড়ে যায়।

আপাএকটু সরেন না, বাইর হই।
পাশের লোকটার  কথায় সম্বিৎ ফিরে আসে। ঘড়িতে তখন সোয়া ছয়টা। সন্ধ্যা হয়ে আসছে। ইফতার হতে আর মাত্র আধা ঘন্টা বাকি। রোজা রেখেছিল বুঝি! কিন্তু ক্ষুধা তৃষ্ণার লেশমাত্র এই মুহূর্তে নেই। শুধু একরাশ উতকণ্ঠা কুণ্ডলী পাকিয়ে উঠে আসছে ভেতর থেকে। এই বৃষ্টির মধ্যে লোকজন বের হয়ে যাচ্ছে। দৌড়ে একটা রিকশা কি সিএনজি যাই পাচ্ছে তা নিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছে। মীরা কি,করবে, পিয়াকে ফোন করে গাড়ি পাঠাতে বলবে নাকি দৌড় দিয়ে রাস্তায় নেমে পড়বে অটোরিকশা খুঁজতে, ভেবে পায় না। ফোন করলে এখনই হয়তোবা তার জন্য গাড়ি পাঠিয়ে দেবে। কিন্তু ঝমঝম বৃষ্টিতে গ্রামের কাঁচা রাস্তায় গাড়ি বের করা যে কি বিশাল ঝুঁকির কাজ, সেটা ভেবে পিয়াকে আর ফোন দিতে পারেনা শেষ পর্যন্ত।  আর এই প্রবল বর্ষণে ভর সন্ধ্যার সাতাশ বছরের এক সুশ্রী তরুণীর এত লোকের  সামনে বৃষ্টির মধ্যে ভিজে  ভিজে অটোরিকশা ধরার বিষয়টা নিজের জন্য খুব একটা সুখকর দৃশ্য বলে মনে হলো না মীরার। কিন্তু এখন উপায়? সন্ধ্যা যে হয়ে এলো। এক্ষুণি আজান পড়বে।
তখনই ডাকটা কানে এলো।  পাশে দাঁড়ানো একজন লোক  চিৎকার করে অটোরিকশা ডাকছে,
 এই যে ভাই, এই যে ভাই, যাবেন দক্ষিণ শ্যামপুর?
আরে! মীরাও তো ওখানেই যাবে। তাহলে ওই একই অটোতে চলে যেতে দোষ কি? এই বিপদে কারো না কারো সাহায্য তো নিতেই হবে। তাছাড়া তাড়াতাড়ি পৌঁছানোটাই হল মূল কথা। মীরা লোকটার দিকে তাকালো। বয়স ত্রিশ থেকে পঁয়ত্রিশের মত হবে। কিন্তু চেহারায় এখনো একটা শিশুসুলভ সরলতা আছে,যা দূর হতে বোধকরি জীবনে আরো পথ পাড়ি দেয়া লাগবে। কিন্তু মীরার এখন এতকিছু দেখার সময় নেই। সে ঝট করে লোকটাকে জিজ্ঞেস করল,
আপনি কোথায় যাবেন?
দক্ষিণ শ্যামপুর।
দক্ষিণ শ্যামপুর? আমিও ওখানে যাব।
লোকটা একটা কথাও বলল না, শুধু তার দিকে ফিরে তাকালো।
কি অদ্ভুত তার দৃষ্টি। যেন পাথরে খোদাই করা চোখ। আর সেই পাথর ফুঁড়ে বের হয়ে আসছে যেন নীল সমুদ্রের অতলতা। কেমন যেন থমকে যেতে হয়, বাকরুদ্ধ হয়ে যেতে হয় এরকম চোখের সামনে পড়ে গেলে। কি জানি কেমন করে মীরার সকল চেতনায় আচমকা বেজে ওঠে, আজি ঝড়ের রাতে তোমার অভিসার /পরান সখা বন্ধু হে আমার।
স্তব্ধ হলো জগৎ সংসার। সকল অতলতা। অচেনা দোলায় দুলে উঠলো সমস্ত পারাপার। সে কোন দোলা, যদি সে ধরতে পারতো । আহা! শুধু তার আভাস রেখে গেল কোথায়, কে জানে।

যন্ত্র চালিতের মত তাড়াতাড়ি করে বলল,
দেখেন না ভাই, আমাকেও একটু নিয়ে যান সম্ভব হলে।
লোকটা অন্যদিকেই মুখ ফিরিয়ে বলল,
না আপা কোনরকম যানবাহন তো নাই। মনে হয় ঘন্টাখানেকের মধ্যে পাওয়ার আশা নাই।
হায় হায়, কি হবে এখন?  এইরকম জায়গায়? কি করি আমি?
কই থেকে আসছেন আপনি?
ঢাকা। ঢাকা থেকে। বেড়াতে আসছিলাম ফ্রেন্ডের বাসায়। রাস্তায় এই বিপদ হবে কে জানতো। দেখেন না ভাই একটু চেষ্টা করে প্লিজ।
লোকটা কতক্ষণ কাচুমাচু করলো। তারপর হাতের ব্যাগটা কে বগলদাবা করে বৃষ্টিতেই নেমে পড়লো রাস্তায়।
মীরা দাঁড়িয়ে আছে ময়রার দোকানে। পিয়া নিশ্চয়ই খুব দুশ্চিন্তা করছে। পাঁচটায় ওদের বাসায় পৌঁছার কথা ছিল তার। তার জন্য ইফতারিতে স্পেশাল আইটেম হিসাবে থাকবে ঘরে পাতা মিষ্টি দই। তাদের বুয়া মিষ্টি দইটা বেশ বানায়। একটু কি ক্ষুধা মোচড় দিচ্ছে পেটের মধ্যে?  

জাত পাত ঠিক নাই,তবু এক পাতে ভাত খাই।
মাঝি তোমার দুই নয়নে তাকাইয়া আমি কেবল ওরে দেখতে পাই, মাঝি।

কিছুক্ষণের মধ্যেই লোকটাকে আর দেখা গেল না। বাজারের এই জায়গাটায় সেই একমাত্র মেয়ে। এই বৃষ্টির মধ্যেও ঘামতে লাগলো।
দশ মিনিট হয়ে গেল। হঠাৎ দেখে ফিরে আসছে লোকটা। সারা গা বৃষ্টিতে সম্পূর্ণ ভেজা। হাতের ব্যাগটাও ভিজে গেছে।

নাহ,একটা সিএনজিও যেতে চায় না ওইদিকে।
বলে করুন দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইল মীরার দিকে। তার টলটলে দুই চোখে অপরাধী ভাব। যেন সিএনজি না পাওয়াটা এক চরম অন্যায়। অন্যায়ই তো। ভাস্কর্যের মতো এক নারী সামনে দাঁড়িয়ে অসহায়ের মতো বৃষ্টিতে ভিজছে আর সে তা দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে দেখছে। মীরা প্রমাদ গুনলো। এখন? বাজে তো ছয়টা চল্লিশ। আর দশ মিনিটের মধ্যে আজান পড়বে। সব পাখি ফিরছে কূলায়। আর তারা? একদল মানুষ এখানে যূপকাষ্ঠের বলি হয়ে প্রকৃতির তাণ্ডবলীলা দেখছে।

রোগা পটকা চেহারার লোকটার অপরাধী আর লাজুক ভঙ্গীর মিশেল ভারী অন্যরকম একটা মায়া জাগানিয়া।ইতস্তত সে একবার মীরার দিকে তাকালো, তারপর মাটির দিকে। আবার হঠাৎ এক সময় সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে বলে উঠলো,
আচ্ছা আরেকটু চেষ্টা করে দেখি।
দেখতে না দেখতে আবার উধাও।

মিনিট পাঁচেক চলে গেছে। মীরার কাছে মনে হচ্ছে কত যুগ পার হয়ে গেল।  কাটা মুরগির মত ছটফট করতে থাকে সে।   না আর নয়। বৃষ্টিতেই নেমে পড়লো শেষ পর্যন্ত । দু-একটা অটোরিকশাকে জিজ্ঞেস করল দক্ষিণ শ্যামপুর যাবে কিনা। কেউই রাজি হল না। শেষে একজন বলল,
ওইখানে যান, ওইগুলান শ্যামপুর যাইবো।

সত্যি সত্যি তখন মীরা ওখানে গিয়ে একটা অটো পেল। দু' তিনজন মিলে দক্ষিণ শ্যামপুর যাত্রা করেছে।  মাথায় আঁচলটা টেনে এনে সে একবার পিছনে আর আশপাশে চারদিকে তাকায়। নাহ,লোকটাকে দেখা যাচ্ছে না। এক মুহূর্তও দেরি না করে অটোরিক্সায় উঠে বসে মীরা। আর সাথে সাথেই অটোরিকশা চলতে শুরু করে। যাক এখনো হয়তো বা ইফতারির টাইমটা ধরা যাবে। বাইরে  তখনো ঝমঝম, অফুরান ধারার বৃষ্টি।