বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস চার দিনের সরকারি সফরে আজ সোমবার যুক্তরাজ্যের উদ্দেশ্যে ঢাকা ত্যাগ করেছেন। সফরের আলোচ্যসূচিতে রয়েছেন ব্রিটেনের রাজা চার্লস তৃতীয় এবং সদ্য নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী কিয়ের স্টারমারের সঙ্গে বৈঠক, তবে রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের চোখ এখন আরেকটি সম্ভাব্য বৈঠকের দিকে—বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে ড. ইউনূসের একান্ত সাক্ষাৎ।
সূত্র জানায়, ১৩ জুন শুক্রবার সকালে লন্ডনে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হতে পারে। স্থান নির্ধারণ এখনো চূড়ান্ত না হলেও হোটেল ব্যালকনি বা নিরপেক্ষ কোনো ভেন্যু বিবেচনায় রয়েছে। আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হতে পারে ২০২৫ সালের জাতীয় নির্বাচন ঘিরে একটি গ্রহণযোগ্য রাজনৈতিক রূপরেখা।
অন্তর্বর্তী সরকারের পক্ষ থেকে আগেই জানানো হয়েছে, এপ্রিলের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু বিএনপির পক্ষ থেকে দাবি তোলা হয়েছে নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যেই করতে হবে। এই প্রেক্ষাপটে ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যে সরাসরি সংলাপ রাজনৈতিক সমঝোতার নতুন সম্ভাবনা উন্মোচন করতে পারে বলে ধারণা বিশ্লেষকদের।
বিএনপির ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বলেছে, "এই বৈঠকটি ফলপ্রসূ হলে রাজনৈতিক সংকট নিরসনে একটি কার্যকর কাঠামো তৈরি হতে পারে। তবে শেষ পর্যন্ত এটি কতটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে, তা নির্ভর করবে আলোচনার গভীরতা ও আন্তরিকতার ওপর।"
এই সফরে ড. ইউনূসের সরকারি কার্যসূচির পাশাপাশি রাজনৈতিক সমঝোতার প্রচেষ্টা বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে একটি উল্লেখযোগ্য অধ্যায় হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বিশ্লেষণ ও প্রেক্ষাপট:
জাতীয় নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর অবস্থান বিপরীতমুখী হলেও, মধ্যস্থতার উদ্যোগ আশার আলো জাগাচ্ছে। ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের মধ্যে একটি খোলামেলা সংলাপ রাজনৈতিক অচলাবস্থা নিরসনের পথে বড় পদক্ষেপ হতে পারে।
