
গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রত্যাশা ব্যক্ত করে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া দেশের চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দলের নেতা-কর্মীদের প্রতি ঐক্যবদ্ধ ও সুশৃঙ্খলভাবে অগ্রসর হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি বলেছেন, “খুব শিগগিরই আমরা বাংলাদেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত দেখতে পাব–এই হোক শহীদ জিয়ার শাহাদাৎ বার্ষিকীতে আমাদের অঙ্গীকার।”
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার রাজধানীর আইইবি মিলনায়তনে দলের আলোচনা সভায় ভিডিও কলে যুক্ত হয়ে এই বক্তব্য দেন খালেদা জিয়া।
দলের পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, দেশে খুব শিগগিরই গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে। সকলকে ধৈর্য, দৃঢ়তা ও শৃঙ্খলা বজায় রেখে এই আন্দোলনে অংশ নিতে হবে।”
বর্তমানে বাংলাদেশ এক রূপান্তরপর্ব অতিক্রম করছে। ২০২৪ সালের আগস্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর ছাত্র-জনতার আন্দোলনের চাপে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়েছে। এই সরকার ২০২৬ সালের জুনের মধ্যে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
এই রাজনৈতিক বাস্তবতায় খালেদা জিয়ার বক্তব্য বিএনপির ভবিষ্যৎ কৌশল নির্ধারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা হিসেবে দেখা হচ্ছে। দলের শীর্ষ নেতারা মনে করছেন, গণতান্ত্রিক ধারা ফিরিয়ে আনার এই সুযোগ কাজে লাগাতে সংগঠনকে সুসংগঠিত ও সক্রিয় রাখতে হবে।
বিশ্লেষকদের মতে, রাজনৈতিক দলসমূহের মধ্যে সংলাপ ও পারস্পরিক সহযোগিতা ছাড়া দীর্ঘস্থায়ী সমাধান সম্ভব নয়। খালেদা জিয়ার এমন আহ্বানকে তারা রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা অর্জনের একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন।