
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, “আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে হবে।” ঢাকায় বিএনপির তিন সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে আয়োজিত ‘তারুণ্যের সমাবেশে’ ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এই মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান বলেন, “নির্বাচন ঘিরে ইতিমধ্যেই টালবাহানার আভাস পাওয়া যাচ্ছে। কথিত অল্প সংস্কার আর অতিরিক্ত সংস্কারের অজুহাতে জাতীয় নির্বাচনের ভবিষ্যৎকে অনিশ্চয়তার দিকে ঠেলে দেওয়া হচ্ছে। জনগণ বিশ্বাস করতে শুরু করেছে, এ সময়ক্ষেপণের আড়ালে অন্তর্বর্তী সরকারের ভেতরে ও বাইরে কিছু মহলের ভিন্ন উদ্দেশ্য লুকিয়ে আছে।”
তিনি দলীয় নেতাকর্মী এবং দেশবাসীর উদ্দেশে বলেন, “ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন নিশ্চিত করতে সবাইকে প্রস্তুতি নিতে হবে। কে হবেন আপনাদের প্রতিনিধি, সেটা আপনারাই ভোটের মাধ্যমে ঠিক করবেন।”
তারেক রহমান অভিযোগ করেন, বিগত নির্বাচনে প্রায় তিন কোটি ভোটার পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন। এই প্রেক্ষাপটে তিনি নির্বাচন আয়োজনের জন্য দ্রুত দৃশ্যমান প্রস্তুতির আহ্বান জানান।
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি হুঁশিয়ারি দিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, “গণতন্ত্রকামী দলগুলোকে প্রতিপক্ষ বানাবেন না। কেউ যদি রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকতে চান, তাহলে পদত্যাগ করে নির্বাচনমুখী হোন। জনগণের রায়ে সরকার গঠন করুন।”
তিনি বলেন, “অতীতে বাংলাদেশে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে মাত্র তিন মাসে সফল নির্বাচন হয়েছে। সেখানে বর্তমানে অন্তর্বর্তী সরকারের অধীনে দশ মাস কেটে গেলেও এখনো নির্বাচনের দিনক্ষণ ঘোষণা করা হয়নি।”
তারেক রহমানের এই বক্তব্য থেকে পরিষ্কার, বিএনপি ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন দাবি করছে এবং সময়ক্ষেপণের যেকোনো প্রয়াসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিচ্ছে।