
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাস নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত সময় বলে মন্তব্য করেছেন জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান।
আজ শনিবার সকালে ঢাকার মগবাজারে আল-ফালাহ মিলনায়তনে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর জেলা ও মহানগরী আমির সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
শফিকুর রহমান বলেন, ‘আমরা দুটি সময়কে উপযুক্ত মনে করি। একটি ফেব্রুয়ারিতে রোজার আগে। তবে যদি এ সময়ের মধ্যে সংস্কারগুলো এবং বিচারের দৃশ্যমান প্রক্রিয়া জনমনে আস্থা সৃষ্টির পর্যায়ে না আসে, তাহলে সর্বোচ্চ এপ্রিল পার হওয়া উচিত না।’
জামায়াতের আমির আরও বলেন, ‘এখানে আমাদের দেশের আবহাওয়া ও পারিপার্শ্বিকতার বিষয় আছে। ফেব্রুয়ারি মাসের শেষ এবং মার্চ মাসের তিন ভাগের দুই ভাগ রোজা থাকবে। সে সময়ে নির্বাচন সম্ভব নয়।’
সংস্কার কার্যক্রম যেটা হাতে নেওয়া হয়েছে, তা যদি আক্ষরিকভাবেই গতিশীল করা হয় এবং অংশীজনেরা সে রকম সহযোগিতা করেন, তাহলে সরকারের ঘোষিত সময়ের মধ্যে সংস্কার করে নির্বাচন সম্ভব বলে মনে করেন জামায়াতের আমির।
অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টাদের অনাকাঙ্ক্ষিত আচরণ থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়ে জামায়াতের আমির বলেন, ‘রাজনীতিক বক্তব্য দিতে হলে ওখান থেকে বের হয়ে এসে দেন। ওখানে থেকে নয়। রাজনীতি করার আপনারও অধিকার আছে। কিন্তু দল নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারে কেউ যদি রাজনীতি করেন, সেটা জাতি মেনে নেবে না, জাতি চায় না।’
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের সুপারিশমালা দেখে বিস্মিত হয়েছেন বলেন শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘আমাদের বিদ্যমান কালচারের সম্পূর্ণ বিপক্ষে তাঁরা কিছু সুপারিশ এনেছেন। সেগুলো বিবেচনা করার প্রশ্নই ওঠে না। এ রকম বিষয় যদি সমাজে কখনো ভুলক্রমে ঢুকে পড়ে, তাহলে সামাজিক ব্যবস্থা তছনছ হয়ে যাবে।’ তিনি বলেন ‘শুধু তা–ই নয়, তাঁদের কিছু সুপারিশ আল্লাহর বিধানের বিপক্ষে দাঁড়িয়ে তাঁরা করেছেন।’
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের প্রস্তাবনা কাণ্ডজ্ঞানহীন উল্লেখ করে তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন। নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনকে প্রত্যাখ্যান করার কথা বলেন।
এ ধরনের সংস্কার কমিটি করতে হলে নারী সমাজের প্রকৃত প্রতিনিধিত্বকারীদের সম্পৃক্ত করার আহ্বান জানান জামায়াতের আমির।
কোনো কোনো রাজনৈতিক দল তাদের কর্মীদের থেকে জাতিকে সুরক্ষা দিতে পুরোপুরি ব্যর্থ হয়েছে বলে মন্তব্য করেন শফিকুর রহমান। তিনি বলেন, ‘এ জন্য যেখানে যাই শুনতে হয়, রেট আগের চেয়ে বেশি। কেন ভাই রেট আগের চেয়ে বেশি হবে? রেটই তো থাকবে না।’