
সংস্কার প্রস্তাবের আলোচনা দীর্ঘ হলে দেশ সংকটে পড়বে—এমন আশঙ্কার কথা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আজ রোববার বিকেলে রাজধানীর কদমতলীতে এক কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এই আশঙ্কার কথা জানান। ভার্চুয়াল দেওয়া বক্তব্যে সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নে নির্বাচিত সরকারে গুরুত্বারোপ করেন তারেক রহমান। এতে মহানগর দক্ষিণের ২৪টি থানার বিএনপিসহ ১১টি অঙ্গসংগঠনের কয়েক হাজার নেতা-কর্মী অংশ নেন।
কর্মশালায় তারেক রহমান বলেন, যদি নির্বাচন প্রক্রিয়া দেরি হয়, সংস্কারের আলোচনা দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হয় স্বৈরাচার আবারও দেশের মানুষের কাঁধে চেপে বসার সুযোগ পেয়ে যাবে। সংস্কার বিষয়ে দলের অবস্থানের কথা জানিয়ে তিনি বলেন, ‘সংস্কার-সংস্কার বক্তব্য রেখে এই আলাপ দয়া করে দীর্ঘায়িত করবেন না। কারণ, আপনারা সংস্কারের আলাপ যত দীর্ঘায়িত করবেন, দেশ তত বেশি সংকটের মুখে পড়বে। আপনারা সংস্কার আলাপ যত দীর্ঘায়িত করবেন দেশে তত ষড়যন্ত্রকারীরা ষড়যন্ত্র করার সুযোগ পাবে।’
সংস্কার প্রস্তাব বাস্তবায়নে নির্বাচন ছাড়া আর কোনো রাস্তা নেই বলে মন্তব্য করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান। তিনি বলেন, সংস্কারের প্রস্তাবগুলো বাস্তবায়ন করতে হলে সবার আগে নির্বাচনই প্রয়োজন। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ যাদের দায়িত্ব দেবে, তারাই সংস্কারের কাজ শুরু করবে।
তিনি বলেন, ‘নির্বাচিত প্রতিনিধিদের মাধ্যমেই সংস্কার বাস্তবায়নের কাজ শুরু করতে হবে। কারণ, যারা নির্বাচিত হয়ে আসবে তারা জনগণের কাছে ওয়াদাই করবে যে তারা সুযোগ পেলে বাস্তবায়ন করবে এই সব সংস্কার। সংস্কার যত দ্রুত বাস্তবায়ন করা যাবে, দেশকে দেশের মানুষকে তত দ্রুত আমরা বিপদ থেকে রক্ষা করতে পারব।’