
অবশেষে আপত্তিকর ভিডিও ফাঁস নিয়ে মুখ খুলেছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন। তার দাবি, ওই নারী তাকে ব্ল্যাকমেল করে মোটা অংকের টাকা দাবি করে আসছিলেন। তাকে কয়েক দফায় ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা দেওয়া হয়েছিল।
শনিবার (২১ জুন) দুপুরের দিকে ডিসি আশরাফ উদ্দিন বলেন, ‘ওই নারী সম্পর্কের সূত্র ধরে বিভিন্ন সময় ব্ল্যাকমেল করে আসছিল। ব্ল্যাকমেলটি যখন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায়, তখন সে মোটা অংকের টাকা দাবি করে। সেই টাকা মেটানোর সামর্থ্য আমার নেই, তখন সে শরীয়তপুরের এক আইনজীবীর সঙ্গে যোগাযোগ করে কীভাবে টাকা আদায় করা যায়। একপর্যায়ে সে আমার ডিসি পোস্টিংয়ের অনেক আগের কিছু ছবি ও ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়।’
ডিসি আশরাফ উদ্দিন আরও বলেন, ‘ডিসি পোস্টিংয়ের পর থেকে সে টাকার জন্য অনেক চাপাচাপি করছিল। পরে মাসে মাসে তার অ্যাকাউন্টে কিছু টাকা দিতে বাধ্য হয়েছি। সে একেতো আমাকে ব্ল্যাকমেল করেছে, অন্যদিকে এগুলো (গোপন ছবি) সব জায়গায় দিল। আমি আমার আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেবো।’
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা যায়, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিন ২০২৪ সালের ৩ নভেম্বর শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক হয়ে যোগদান করেন। এর আগে তিনি ২৭তম বিসিএস ক্যাডারে উত্তীর্ণ হয়ে নিউরো ডেভেলপমেন্ট, প্রতিবন্ধী ট্রাস্টের পরিচালক পদে দায়িত্ব পালন করেন।
এ দিকে অন্তরঙ্গ ভিডিও প্রকাশের পর শরীয়তপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মোহাম্মদ আশরাফ উদ্দিনকে ওএসডি করেছে সরকার।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় শনিবার রাতে ২৭তম বিসিএস ব্যাচের এই কর্মকর্তাকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নিয়োগ করে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
ডিসির সঙ্গে ভাইরাল হওয়া ভিডিওতে থাকা ওই নারী সাংবাদিকদের বলেন, উনি (জেলা প্রশাসক) আমার নিকটাত্মীয়। আমাকে বিয়ের কথা বলে আমার স্বামীর সঙ্গে ডিভোর্স করিয়েছে। তিনি আমার সংসার, সমাজ ধ্বংস করে পথে বসিয়েছে। এখন আমাকে বিয়ে না করে, উল্টো মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। সে এর আগে আমাকে শারীরিকভাবে মারধর করেছে।