
মাত্র পাঁচ দিন আগে কারাফটকে গাঁটছড়া বাঁধা গায়ক মাইনুল আহসান নোবেল ও ইসরাত জাহান প্রিয়ার সংসারে আসছে নতুন অতিথি। মঙ্গলবার (২৪ জুন) ঢাকার একটি আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে এই সংবাদ নিজ কানে শুনেছেন নোবেল নিজেই। খবরটি জানিয়ে দেন তার সদ্য বিবাহিত স্ত্রী প্রিয়া।
আদালত চত্বরে সকাল থেকেই ছিলেন কড়া নিরাপত্তা। নোবেল যখন হাস্যোজ্জ্বল মুখে আদালতে প্রবেশ করেন, কিছু সময় পরই আদালতে হাজির হন তার স্ত্রী প্রিয়া—যিনি এই মামলার বাদীও। কাঠগড়ায় গিয়ে নোবেলের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। দুজনেই ছিলেন হাস্যোজ্জ্বল এবং সৌহার্দ্যপূর্ণ মেজাজে।
আদালতে জানানো হলো: নোবেল হতে যাচ্ছেন বাবা
নোবেলের আইনজীবী মো. খলিলুর রহমান জানান, গায়কের স্ত্রী প্রিয়া বর্তমানে অন্তঃসত্ত্বা। এই খবর জানার পর নোবেলও ছিলেন আবেগাপ্লুত। তিনি বলেন, “এটা নোবেলের জন্য নতুন এক জীবনের শুরু। তারা বাবা-মা হতে চলেছেন, তাই এখন চাইছেন শান্তিপূর্ণভাবে সংসার করতে।”
তিনি আরও জানান, মূলত গত বছরই তারা একসঙ্গে বসবাস শুরু করেছিলেন। যদিও তখন কাবিননামা হয়নি। সেই সময়ের কিছু ভুল বোঝাবুঝির জেরে মামলা হয়। এখন এসব ভুল বোঝাবুঝির অবসান ঘটিয়ে গত ১৯ জুন কারাফটকে তাদের বিয়ে সম্পন্ন হয়।
বিয়ের শর্তে জামিন, এখন সংসারের দিকে নজর
নারী নির্যাতন ও পর্নোগ্রাফি মামলায় ডেমরা থানায় দায়ের হওয়া অভিযোগে ২০ মে থেকে কারাগারে ছিলেন নোবেল। মামলার শুনানিতে বিচারক ১৮ জুন শর্তসাপেক্ষে জামিনের কথা বলেন। শর্ত ছিল, বাদীকে বিয়ে করতে হবে।
এরপর ১৯ জুন কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারে কারা কর্তৃপক্ষের তত্ত্বাবধানে আনুষ্ঠানিকভাবে বিয়ে করেন নোবেল ও প্রিয়া। দেনমোহর ধরা হয় ১০ লাখ টাকা। বিয়েতে উভয় পরিবারের সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
জামিন পেলেন এক হাজার টাকায়
আজ আদালতে এক হাজার টাকা মুচলেকায় জামিন মঞ্জুর হয় নোবেলের। জামিনের আদেশ দেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মেহেরা মাহাবুব। প্রিয়া নিজেও এই জামিনে সম্মতি জানান। জামিন আদেশের পর আদালত থেকে বেরিয়ে যাওয়ার সময় প্রিয়ার হাত ধরে হাঁটতে দেখা যায় নোবেলকে। এমনকি লিফটেও একসঙ্গেই উঠেছিলেন তারা।
গায়ক নোবেল এখনও এই বিষয়ে গণমাধ্যমে কোনো মন্তব্য করেননি। তবে তার ঘনিষ্ঠরা বলছেন, তিনি এখন চান একটা স্বাভাবিক, স্থিতিশীল জীবন এবং নতুন সদস্যকে ঘিরে এক নতুন শুরু।