
দেশে ফের করোনাভাইরাস সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জনগণকে সতর্ক করার জন্য নতুন করে ১১ দফা নির্দেশনা জারি করেছে।
এই নির্দেশনাগুলো আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে প্রকাশ করেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবু জাফর মো. শাহীন।
? কী নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে?
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনাগুলো মূলত দুই ভাগে ভাগ করা — সাধারণ জনগণের জন্য এবং করোনা উপসর্গ বা আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য।
? সাধারণ জনগণের করণীয়:
অপ্রয়োজনে ভিড় বা জনসমাগম এড়িয়ে চলুন।
জনসমাগমে অংশ নিতে হলে মাস্ক অবশ্যই পরুন।
হাঁচি-কাশির সময় নাক ও মুখ কাপড় বা টিস্যু দিয়ে ঢেকে নিন।
ব্যবহৃত টিস্যু নিরাপদভাবে ঢাকনাযুক্ত পাত্রে ফেলুন।
কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে নিন বা স্যানিটাইজার ব্যবহার করুন।
হাত না ধুয়ে চোখ, নাক ও মুখ স্পর্শ করবেন না।
আক্রান্ত বা উপসর্গযুক্ত ব্যক্তির কাছ থেকে কমপক্ষে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন।
? উপসর্গ বা আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য:
জ্বর, কাশি বা শ্বাসকষ্ট হলে ঘরে থাকুন এবং বিশ্রাম নিন।
আক্রান্ত ব্যক্তি যেন সব সময় মাস্ক পরে থাকেন।
পরিচর্যাকারীরাও অবশ্যই মাস্ক পরিধান করুন।
প্রয়োজনে ১৬২৬৩ নম্বরে অথবা ০১৪০১-১৯৬২৯৩ নম্বরে যোগাযোগ করুন।
? করোনা পরিস্থিতি: হালনাগাদ চিত্র
গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ১৩ জন নতুন করে আক্রান্ত হয়েছেন, যা দৈনিক পরীক্ষার ১২.৮৭ শতাংশ।
এখন পর্যন্ত মোট শনাক্তের সংখ্যা ২০ লাখ ৫১ হাজারের বেশি, এবং মৃত্যু ২৯ হাজার ৫০০-এর কাছাকাছি।
ঢাকার বিভিন্ন হাসপাতালে টেস্ট কিটের ঘাটতি দেখা যাচ্ছে।
দেশে এখনো প্রায় ৩১ লাখ ভ্যাকসিন মজুত রয়েছে, তবে এর মধ্যে ১৭ লাখের মেয়াদ আগস্টেই শেষ হয়ে যাবে।
? নতুন ভ্যারিয়েন্ট নিয়ে উদ্বেগ
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, দেশে এখন ওমিক্রনের নতুন সাবভ্যারিয়েন্ট XFG, XFC ও NB.1.8.1 শনাক্ত হয়েছে, যেগুলো ভারতের সীমান্তবর্তী এলাকায় ছড়িয়ে পড়ছে।
যদিও এদের মারাত্মকতা বেশি নয়, তবুও বুস্টার ডোজ পুনরায় চালু করার আহ্বান জানানো হয়েছে, বিশেষ করে যাদের শেষ টিকা নেওয়ার ছয় মাস পেরিয়ে গেছে, বয়স্ক, গর্ভবতী নারী এবং রোগপ্রবণ ব্যক্তিদের জন্য।