
চলতি মাসে ঘূর্ণিঝড় হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সঙ্গে থাকতে পারে কয়েক দফায় তাপপ্রবাহ। এর মধ্যে দু–একটি তীব্র হওয়ার সম্ভাবনা আছে। আবার কালবৈশাখীও আঘাত হানতে পারে কয়েকবার।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের দেওয়া মে মাসের দীর্ঘমেয়াদি পূর্বাভাসে এসব তথ্য উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতি মাসের শুরুতে আবহাওয়া অধিদপ্তর মাসব্যাপী আবহাওয়ার পূর্বাভাস দেয়। এ মাসের পূর্বাভাসটি দেওয়া হয়েছে গত বুধবার।
এই মাসে দেশে স্বাভাবিক বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস। তাদের দেওয়া পূর্বাভাস অনুযায়ী, এ মাসে বঙ্গোপসাগরে এক থেকে তিনটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। যার মধ্যে এক থেকে দুটি নিম্নচাপে রূপ নিতে পারে। আবার এই নিম্নচাপ আবার ঘূর্ণিঝড়েরও রূপ নিতে পারে।
কবে হতে পারে সেই ঘূর্ণিঝড়—প্রশ্নের জবাবে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশীদ আজ শুক্রবার বলেন, অন্তত মাসের প্রথম দুই সপ্তাহের মধ্যে সম্ভাবনা নেই, তা বলা যায়। তবে নিম্নচাপ যে হবে, তা নিশ্চিত। সেটা মাসের শেষের দিকে হতে পারে। এই নিম্নচাপ থেকে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা আছে, তবে এটি আদৌ হবে কি না, এখনো নিশ্চিত করে বলার সময় আসেনি।
গত বছরের (২০২৪) ২৬ মে প্রবল ঘূর্ণিঝড় রিমাল বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানে। এতে উপকূলের ১৯টি জেলার ৪৬ লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হন। ২০২৩ সালের ১৪ মে ঘূর্ণিঝড় মোখা বাংলাদেশে আঘাত হানে।
চলতি মাসে দুই থেকে তিনটি মাঝারি থেকে তীব্র কালবৈশাখী বয়ে যেতে পারে। আর তিন থেকে পাঁচ দিন হালকা কালবৈশাখী হতে পারে বলে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে হতে পারে।
মে মাস বাংলাদেশের দ্বিতীয় উষ্ণ মাসে। এ মাসে গড় তাপমাত্রা থাকে ৩২ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী, এ মাসে এক থেকে তিনটি মৃদু তাপপ্রবাহ এবং এক থেকে দুটি তীব্র তাপপ্রবাহের সম্ভাবনা আছে।
এ মাসে নদ–নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ থাকতে পারে বলে পূর্বাভাসে বলা হয়েছে। তবে বিচ্ছিন্ন ভারী বৃষ্টির জন্য দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর–পূর্বাঞ্চল ও দক্ষিণাঞ্চলের নদীগুলোতে সময় বিশেষে পানি বাড়তে পারে।