
কক্সবাজারের টেকনাফের প্রবালসমৃদ্ধ দ্বীপ সেন্ট মার্টিনে আগামীকাল শনিবার থেকে কোনো পর্যটক যেতে পারবেন না। পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলও বন্ধ থাকবে।
আজ শুক্রবার পর্যন্ত গত দুই মাসে ১ লাখ ২০ হাজার পর্যটক সেন্ট মার্টিন ভ্রমণ করেছেন। ভ্রমণের আগে অনলাইনে নিবন্ধন সম্পন্ন করেন তাঁরা। এরপর ট্রাভেল পাস নিয়ে সেন্ট মার্টিন যেতে হয়েছে পর্যটকদের। পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা ছিল, নভেম্বর মাসে পর্যটকেরা দ্বীপটিতে দিনে গিয়ে দিনে ফিরে আসবেন। তবে ডিসেম্বর ও জানুয়ারি—এ দুই মাসে দৈনিক দুই হাজার পর্যটকের জন্য সেন্ট মার্টিন ভ্রমণ ও সেখানে রাত যাপনের সুযোগ রাখা হয়।
সেন্ট মার্টিন হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি মৌলভি আবদুর রহিম জিহাদী বলেন, সেন্ট মার্টিনের ৮০ শতাংশ মানুষ পর্যটনের সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে সংশ্লিষ্ট। ডিসেম্বর-জানুয়ারি এ দুই মাসের পর্যটন ব্যবসায় তেমন লাভ হয়নি। ৭০ শতাংশ হোটেল রিসোর্ট-খালি পড়ে ছিল। দ্বীপে হোটেলের সংখ্যা ২৩০টি।
পর্যটক যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা চলাকালে কী হবে আট কিলোমিটার আয়তনের এই দ্বীপে—এ প্রশ্নটিই এখন আলাপ-আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে আড্ডা আর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চাওয়া হয় পরিবেশ অধিদপ্তর কক্সবাজার কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. জমির উদ্দিনের কাছে। তিনি বলেন, আজ শুক্রবার মধ্যরাত থেকে সেন্ট মার্টিনে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। এরপর কেউ সেন্ট মার্টিন যাচ্ছেন কি না, তা নজরদারিতে রাখা হবে। জমির উদ্দিন বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময়ে সেন্ট মার্টিন দ্বীপের বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে ২ ফেব্রুয়ারি অনলাইনে মিটিং ডাকা হয়েছে। সেখানেই সেন্ট মার্টিনের বিষয়ে করণীয় নির্ধারণ করা হবে।’