০২ জুন ২০২৫ , ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ 

শিক্ষা

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে শহীদ-আহতের পরিবার পাবে বিশেষ কোটা

বাংলা ওয়াচ ডেস্ক

প্রকাশিত: ২২:২৬, ৩০ মে ২০২৫

বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিতে শহীদ-আহতের পরিবার পাবে বিশেষ কোটা

২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষে গুচ্ছভুক্ত ১৯টি সাধারণ, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (জিএসটি) স্নাতক প্রথম বর্ষে ভর্তিতে ১৯৭৫ সালের জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ ও তালিকাভুক্ত আহতদের পরিবারের সদস্যরা বিশেষ সুবিধা পাবেন।

সম্প্রতি গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ওয়েবসাইটে প্রকাশিত সমন্বিত ভর্তি নির্দেশিকা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, গেজেটভুক্ত শহীদ ও তালিকাভুক্ত আহতদের স্ত্রী, সন্তান এবং তাঁদের অবর্তমানে ভাই-বোনেরা এই সুবিধার আওতায় আসবেন।

অন্তর্ভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়সমূহ:

এই সুবিধাটি কার্যকর হবে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, যশোর, পাবনা, বরিশাল, রাঙামাটি, নেত্রকোনা, চাঁদপুর, সুনামগঞ্জ, পিরোজপুরসহ মোট ১৯টি বিশ্ববিদ্যালয়ে।

ভর্তি আবেদন চলবে ৫ জুন পর্যন্ত

ভর্তির অনলাইন আবেদন শুরু হয়েছে ২৯ মে এবং তা চলবে ৫ জুন রাত ১১টা ৫৯ মিনিট পর্যন্ত। আবেদন প্রক্রিয়ায় পছন্দক্রম ও কোটার অংশে এই বিশেষ সুবিধা যুক্ত রয়েছে। অন্যান্য কোটার মধ্যে রয়েছে: মুক্তিযোদ্ধা কোটা, প্রতিবন্ধী কোটা, ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী কোটা, বিকেএসপি কোটা, পোষ্য কোটা, হরিজন ও দলিত কোটা, এবং পার্বত্য অঞ্চলের বিশেষ কোটা।

সরকারি প্রজ্ঞাপনের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত

ভর্তি কমিটির আহ্বায়ক ও মাওলানা ভাসানী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল আজীম আখন্দ বলেন, “সরকারের প্রজ্ঞাপনের ভিত্তিতেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবং এটি শুধুমাত্র চলতি শিক্ষাবর্ষের জন্য প্রযোজ্য।”

পূর্ববর্তী উদাহরণ

এর আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ও একই ধরনের সুবিধা ঘোষণা করে। এছাড়া মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তর (মাউশি) স্কুল-কলেজে শহীদ-আহতের পরিবারের জন্য কোটা নির্ধারণের নির্দেশ দিয়েছিল, যা পরে সংশোধন করে প্রতি শ্রেণিতে একটি করে অতিরিক্ত আসনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

গুচ্ছ পদ্ধতির পটভূমি

উল্লেখ্য, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের ভোগান্তি কমাতে ২০২০ সাল থেকে গুচ্ছভিত্তিক ভর্তি কার্যক্রম চালু হয়। গত বছর ২৪টি বিশ্ববিদ্যালয় এতে অংশ নিলেও এবার পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় এ পদ্ধতি থেকে সরে গেছে।