
তিনদফা দাবি আদায়ের লক্ষ্যে টানা কর্মবিরতির পর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা আপাতত আন্দোলন স্থগিত করেছেন। আজ বৃহস্পতিবার প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের আশ্বাসের পরিপ্রেক্ষিতে আগামী ২৫ জুন পর্যন্ত কর্মসূচি স্থগিতের ঘোষণা দেন শিক্ষক নেতারা।
চলমান কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত থাকলেও পাঠদান কার্যক্রম থেকে বিরত ছিলেন। তবে আজ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত এক উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে শিক্ষকদের তিন দফা দাবির বিষয়ে আলোচনার পর ইতিবাচক অগ্রগতি আশা করে আন্দোলন স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতি এবং সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ সাংবাদিকদের জানান, "চাকরির এন্ট্রি পদের বেতন ১১তম গ্রেডে উন্নীতকরণ, ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির জটিলতা নিরসন, এবং প্রধান শিক্ষকের পদে শতভাগ সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতির বিষয়গুলো বাস্তবায়নের আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।"
বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব, যুগ্মসচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালকসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা। শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে দেশের বিভিন্ন জেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অংশ নেন।
দেশে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সংখ্যা ৬৫,৫৬৭ টি। প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের তথ্য বলছে, এসব বিদ্যালয়ে ৩ লাখ ৮৪ হাজার শিক্ষক কর্মরত।
সহকারী শিক্ষক পদকে এন্ট্রি পদ ধরে ১১ তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণ, চাকরির ১০ বছর ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড পাওয়ার জটিলতা নিরসন ও প্রধান শিক্ষকের শতভাগ পদে সহকারী শিক্ষকদের পদোন্নতিসহ দ্রুত পদোন্নতির দাবিতে সহকারী শিক্ষকেরা ২৬ মে থেকে পূর্ণদিবস কর্মবিরতি শুরু করেছেন। এই তিন দাবি আদায়ে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা ৫ থেকে ১৫ মে পর্যন্ত দিনে ১ ঘণ্টা, ১৬ থেকে ২০ মে পর্যন্ত ২ ঘণ্টা, ২১ থেকে ২৫ মে পর্যন্ত অর্ধদিবস কর্মবিরতি পালন করেন।
সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকেরা ১৩ তম গ্রেডে ও প্রধান শিক্ষকেরা ১১ তম গ্রেডে বেতন পাচ্ছেন। গত ২৪ এপ্রিল প্রধান শিক্ষকদের বেতন ১০ ম গ্রেডে ও সহকারী শিক্ষকদের বেতন ১২ তম গ্রেডে উন্নীত করার উদ্যোগ নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়।