
হিন্দি সিনেমার দুরবস্থা নিয়ে অবশেষে মুখ খুলেছেন অভিনেতা আমির খানও। এবার মুম্বাইয়ে শুরু হওয়া ‘ওয়েভস সামিট’-এ আবার সেই প্রসঙ্গ টেনে সিনেমাশিল্পের উন্নয়নে করণীয় বিষয়ে মত দিলেন তিনি।
‘ওয়েভস সামিট’ ভারতের প্রথম বিশ্ব অডিও–ভিজ্যুয়াল ও বিনোদন শীর্ষ সম্মেলন। চলতি বছরের ১ মে শুরু হওয়া এ সম্মেলন চলবে ৪ মে পর্যন্ত। সম্মেলনের দ্বিতীয় দিনে বক্তব্য দিতে গিয়ে আমির খান বলেন, ‘আমার বিশ্বাস, সামনে
ভারতে আরও বেশি প্রেক্ষাগৃহ তৈরি হবে। এখনো দেশের বহু জেলা ও মফস্সলে সিনেমা হলের ঘাটতি রয়েছে। কয়েক দশক ধরেই এ সমস্যার মুখোমুখি আমরা।’
আমির আরও বলেন, ‘এই শিল্পে আরও বেশি বিনিয়োগ প্রয়োজন। সারা দেশে যদি আরও বেশি সিনেমা হল গড়ে ওঠে, তাহলে আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে ভারতীয় সিনেমার গ্রহণযোগ্যতাও বাড়বে। আর যদি না হয়, তাহলে বড় পর্দায় সিনেমা দেখতে দর্শক আসবে না।’
প্রেক্ষাগৃহসংক্রান্ত পরিসংখ্যান তুলে ধরে আমির খান বলেন, ‘দেশের আকার ও জনসংখ্যার তুলনায় সিনেমা হলের সংখ্যা অত্যন্ত কম। ভারতে বর্তমানে মাত্র ১০ হাজার সিনেমা হল রয়েছে। অথচ যুক্তরাষ্ট্রে রয়েছে ৪০ হাজার, আর চীনে ৯০ হাজারের মতো। এর মধ্যে ১০ হাজার প্রেক্ষাগৃহের প্রায় অর্ধেকই দক্ষিণ ভারতে, বাকিটা দেশের অন্য অংশে। হিন্দি সিনেমার জন্য সাধারণত ৫ হাজারের মতো হল বরাদ্দ থাকে।
ভারতীয় দর্শকের সিনেমা দেখার অভ্যাস নিয়েও কথা বলেন আমির। তিনি জানান, ‘দেশের জনসংখ্যার মাত্র ২ শতাংশ মানুষ বড় পর্দায় সিনেমা দেখতে যান। বাকি ৯৮ শতাংশ হয় বাড়িতে সিনেমা দেখেন, না হয় কাছাকাছি সিনেমা হল না থাকার কারণে দেখতেই পারেন না।
সিনেমা হল না থাকায় দর্শক হারানোর দুঃখ প্রকাশ করে আমির খান বলেন, ‘দেশে কোঙ্কন অঞ্চলের মতো বহু এলাকা রয়েছে, যেখানে একটি সিনেমা হলও নেই। অথচ সেই এলাকার মানুষ সিনেমা সম্পর্কে সচেতন। কিন্তু পরিকাঠামো না থাকায় তাঁরা প্রেক্ষাগৃহে গিয়ে সিনেমা দেখতে পারেন না।’
সিনেমাকে জনগণের কাছে পৌঁছে দিতে আমির খান তাঁর মত দেন, আমার একটাই প্রস্তাব, দেশের সব ছোট শহরে সিনেমা হল গড়ে তুলতে হবে। সেখানে স্বল্পমূল্যের টিকিটে সিনেমা দেখার ব্যবস্থা করতে হবে। তাহলেই মানুষের কাছে পৌঁছাতে পারবে আমাদের সিনেমাগুলো।