১৩ মে ২০২৫ , ২৯ বৈশাখ ১৪৩২ 

রাজনীতি

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রকাশিত: ২০:১০, ১২ মে ২০২৫

আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে প্রজ্ঞাপন জারি 

বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসমূহের সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ সোমবার এক প্রজ্ঞাপনে এই নির্দেশনা জারি করে।

প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, সন্ত্রাসবিরোধী (সংশোধন) অধ্যাদেশ ২০২৫-এর আওতায় এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হয়েছে। এতে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বিচারকার্য চলমান থাকা অবস্থায় আওয়ামী লীগ, এর অঙ্গসংগঠন ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনসমূহ কোনো ধরনের প্রচারপত্র, গণমাধ্যমে প্রচার, মিছিল-মিটিং, সভা-সমাবেশ বা সম্মেলন করতে পারবে না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এসব সংগঠনের কর্মকাণ্ড প্রচার নিষিদ্ধ থাকবে।

এর আগে ১০ মে অনুষ্ঠিত অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের বিশেষ বৈঠকে এই সিদ্ধান্তের নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ওই বৈঠকে তিনটি মূল সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়—
১. আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আইনের সংশোধন,
২. নিরাপত্তা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ এবং
৩. আওয়ামী লীগের কার্যক্রম নিষিদ্ধকরণ।

প্রজ্ঞাপনে আরও বলা হয়, ২০০৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনগুলো রাজনৈতিক বিরোধীদের ওপর পরিকল্পিত হামলা, গুম, হত্যা, ধর্ষণ, দমন-পীড়নসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে দেশে ত্রাসের পরিবেশ সৃষ্টি করেছে। বিশেষ করে ২০২4 সালের জুলাই মাসে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন চলাকালে ব্যাপক মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ উঠে, যা দেশি-বিদেশি বিভিন্ন সংস্থার প্রতিবেদনেও উঠে এসেছে।

সরকারি প্রজ্ঞাপনে এসব অভিযোগকে ‘মানবতাবিরোধী অপরাধ’ হিসেবে উল্লেখ করে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বিচার শেষ না হওয়া পর্যন্ত এসব সংগঠনের যাবতীয় রাজনৈতিক তৎপরতা স্থগিত থাকবে।

এই সিদ্ধান্তের ফলে দেশের রাজনীতিতে নতুন করে উত্তাপ ছড়াতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।