০৯ মে ২০২৫ , ২৫ বৈশাখ ১৪৩২ 

জাতীয়

বিয়ের আশ্বাসে অবৈধ যৌনকর্মের সাজা ৭ বছর, অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রকাশিত: ২১:৪০, ২০ মার্চ ২০২৫

বিয়ের আশ্বাসে অবৈধ যৌনকর্মের সাজা ৭ বছর, অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন

বিয়ের আশ্বাসে অবৈধ যৌনকর্মের করে পরে প্রতারণা করলে সর্বোচ্চ ৭ বছর কারাদণ্ডের বিধান রেখে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের সংশোধনীতে অনুমোদন দিয়েছে উপদেষ্টা পরিষদ।

আগে বিষয়টি ধর্ষণ হিসেবে গণ্য করে সে অনুযায়ী শাস্তির বিধান থাকলেও আইন সংশোধনের পর তা ভিন্ন ধরনের অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে।

বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের সভায় আইন সংশোধনের প্রস্তাবে অনুমোদন দেওয়া হয় বলে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম জানিয়েছেন।

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকের পর রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং আয়োজিত সংবাদ ব্রিফিংয়ে বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

পরে আইন মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তার সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অবৈধ যৌন সম্পর্কের বিষয়টিকে আলাদা অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এই কর্মকর্তা বলেন, ধর্ষণের ঘটনাগুলোর দ্রুত বিচারের জন্য এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া প্রস্তাবিত আইনে বলাৎকারকেও ধর্ষণ হিসেবে সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে।

বিকালে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে ব্রিফিংয়ে শফিকুল আলম বলেন, “কেবিনেট আজকে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের সংশোধনী পাস হয়েছে। এটা নিয়ে আমাদের আইন উপদেষ্টা গত সপ্তাহে বিস্তারিত বলেছেন। উনার ব্রিফিংয়ের পরে আমরা অনেকগুলো উইমেন গ্রুপের মতামত আমরা নিয়েছি।

“তাদের মতামতগুলোকে অ্যাকমডেট করার যথাসাধ্য চেষ্টা করা হয়েছে। তার আলোকে আজকে প্রায় ঘণ্টাখানেক এই ল'টা ডিবেট হয়েছিল, তারপর এ অ্যামেন্ডেন্টটা পাস হয়েছে।”

অনুমোদন পাওয়া খসড়া অনুযায়ী, প্রেমের সম্পর্ক থাকার সময় বিয়ের প্রতিশ্রুতি বা প্রতারণার মাধ্যমে কারও সঙ্গে যৌনকর্ম করলে তা আর ধর্ষণ হিসেবে গণ্য হবে না। এ ধরনের প্রতারণাকে আলাদা অপরাধ হিসেবে বিবেচনা করা হবে, যার সর্বোচ্চ শাস্তি হবে সাত বছর কারাদণ্ড।

এর আগে গত সোমবার সংশোধিত নারী ও শিশু নির্যাতন দমন অধ্যাদেশের খসড়ার নীতিগত অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল। সেদিন আইন উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল জানিয়েছিলেন, প্রস্তাবিত আইনে ধর্ষণ মামলার তদন্ত ও বিচারের সময় কমিয়ে আনা হচ্ছে। আর শিশু ধর্ষণের মামলার বিচার আলাদাভাবে করার জন্য বিশেষ ট্রাইব্যুনাল স্থাপনের বিধান রাখা হচ্ছে।

প্রস্তাবিত অধ্যাদেশে বলাৎকারের নতুন সংজ্ঞা দেওয়া হয়েছে জানিয়ে প্রেস সচিব শফিকুল বলেন, “আপনারা জানেন, এ মামলাগুলোর (বিচার) ডিলে হওয়ার পেছনে ডিএনএ টেস্টের একটা বড় ভূমিকা ছিল।
“সে জায়গাগুলো কীভাবে এড্রেস করা যায়, সেগুলোর মেজার নেওয়া হয়েছে। আমরা নতুন দুইটা ডিএনএ ল্যাবও করতে যাচ্ছি।”