০২ মে ২০২৫ , ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ 

জাতীয়

সরকারি কর্মচারীকে আট দিনে চাকরিচ্যুত করা যাবে

বাংলা ওয়াচ ডেস্ক

প্রকাশিত: ১৩:২০, ৩০ এপ্রিল ২০২৫

সরকারি কর্মচারীকে আট দিনে চাকরিচ্যুত করা যাবে

সরকারি চাকরিজীবীদের ওপর কঠোর হতে সাড়ে চার দশক আগের একটি অধ্যাদেশের কিছু ধারা ফিরিয়ে আনতে যাচ্ছে অন্তর্বর্তী সরকার। এটি করা হচ্ছে মূলত সরকারি কর্মচারীদের রাজপথে সভা-সমাবেশ, কর্মবিরতি ও অবস্থান কর্মসূচি বন্ধ করতে। অন্য কর্মচারীকে তাঁর কর্মস্থলে যেতে বাধা না দিতে। সচিবালয়ের ভেতরে বিক্ষোভ বন্ধ করতে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কোনো কর্মচারীর কারণে দাপ্তরিক শৃঙ্খলায় বিঘ্ন ঘটলে তদন্ত ছাড়া তাঁকে আট দিনের নোটিশে চাকরিচ্যুত করতে পারবে সরকার। কেউ বিনা অনুমতিতে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকলে তাঁকেও তদন্ত ছাড়া আট দিনের মধ্যে অব্যাহতি দেওয়া যাবে। সে ক্ষেত্রে কোনো কর্মচারী আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ পাবেন না।

‘সরকারি চাকরি আইন ২০১৮’ সংশোধনের মাধ্যমে এ বিষয়গুলো যুক্ত করা হচ্ছে। আর এ-সংক্রান্ত ধারাগুলো আনা হচ্ছে ‘সরকারি কর্মচারী (বিশেষ বিধান) অধ্যাদেশ ১৯৭৯’ থেকে। বিগত আওয়ামী লীগ সরকার ২০১৮ সালে নতুন সরকারি আইন পাস করার পর সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সময়ের অধ্যাদেশটি বাতিল হয়ে যায়।

সরকারি চাকরিতে এখন প্রায় ১৫ লাখ কর্মচারী রয়েছেন। কর্মচারীদের নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি, পদায়ন, ছুটি, শাস্তি—সবকিছুই নির্ধারিত হয় ‘সরকারি চাকরি আইন ও সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা ২০১৮’-এর মাধ্যমে। বিদ্যমান আইন অনুযায়ী এসব বিষয় বাস্তবায়নে দীর্ঘ সময় লাগে। অন্তর্বর্তী সরকার চায়, কর্মচারীরা অপরাধ করলে দ্রুত শাস্তি পাবেন।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়–সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র বলছে, গণ-অভ্যুত্থানে গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর প্রশাসনে অস্থিরতা দেখা দেয়। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর পুলিশ, প্রশাসন, শিক্ষাসহ কয়েকটি ক্যাডারের কর্মচারীদের অনেকে আত্মগোপনে চলে যান। কেউ কেউ দেশ ছেড়ে পালিয়ে যান। অনেক কর্মচারী বিনা অনুমতিতে দিনের পর দিন কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকছেন। সরকারের প্রতি আনুগত্য দেখাচ্ছেন না। অন্য কর্মচারীদের কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকতে প্ররোচনা দেওয়া হচ্ছে।

আইনটি সংশোধনের কাজ করছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের বিধি অনুবিভাগ। সংশোধিত আইন অনুমোদনের জন্য শিগগিরই উপদেষ্টা পরিষদে উত্থাপন করা হবে বলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে।