০২ মে ২০২৫ , ১৮ বৈশাখ ১৪৩২ 

জাতীয়

নুসরাত-অপুসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর নামে হত্যাচেষ্টার মামলা 

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রকাশিত: ১৮:১৪, ২৯ এপ্রিল ২০২৫

নুসরাত-অপুসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর নামে হত্যাচেষ্টার মামলা 

ঢাকাই সিনেমার নায়িকা নুসরাত ফারিয়া, অপু বিশ্বাস, নিপুণ আক্তার, আশনা হাবিব ভাবনা, নায়ক জায়েদ খানসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের এক হত্যাচেষ্টা মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও আসামি করা হয়েছে। 

এনামুল হক নামের এক ব্যক্তি গত মার্চ মাসে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ২৮৩ জনকে আসামি করে এ মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে ভাটারা থানা মঙ্গলবার তা এজাহার হিসেবে লিপিবদ্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু করে।
ভাটার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন হক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আজ আমাদের কাছে নথি এসে পৌঁছেছে। থানায় সেটি লিপিবদ্ধ করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।”

এনামুল হক নামের এক ব্যক্তি গত মার্চ মাসে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালতে ২৮৩ জনকে আসামি করে এ মামলা করেন। আদালতের নির্দেশে ভাটারা থানা মঙ্গলবার তা এজাহার হিসেবে লিপিবদ্ধ করার প্রক্রিয়া শুরু করে।
ভাটার থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুজন হক বলেন, “আজ আমাদের কাছে নথি এসে পৌঁছেছে। থানায় সেটি লিপিবদ্ধ করার প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।”

মামলায় আসামির মধ্যে অভিনয়শিল্পী সুবর্ণা মোস্তফা, রোকেয়া প্রাচী, সোহানা সাবা, মেহের আফরোজ শাওন, জ্যোতিকা জ্যোতি, সাইমন সাদিক, আজিজুল হাকিমের নামও রয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ঢাকার মিরপুরে বিএনপিকর্মী মাহফুজ আলম শ্রাবণ নিহতের ঘটনায় গত ২০ এপ্রিল ঢাকার আদালতে করা একটি মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৪০৭ জনকে আসামি করা হয়। আসামি তালিকায় অভিনেতা ইরেশ যাকেরও রয়েছেন।

বিষয়টি আলোচনায় আসতেই ইরেশের বিরুদ্ধে মামলা হওয়াকে ‘বিরক্তিকর’ বলে বর্ণনা করেছেন সংস্কৃতি উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।

সোমবার সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, “আমি এখন সরকারে আছি। অ্যাক্টিভিস্ট থাকলে অনেক কথা বলতে পারতাম। ইরেশ যাকেরকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি। তিনি জুলাইয়ের আন্দোলনেও জড়িত ছিল, সেটা আমি জানি। ফলে এটা গভীরভাবে একটা বিরক্তিকর ব্যাপার।”

মামলা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বর্তমানে মামলা করার স্বাধীনতা সবাই পেয়েছে। তবে কেউ কেউ এটির অপব্যবহারও করছে।”

একইদিন সংবাদ সম্মেলনে এসে আইজিপি বাহারুল আলমও মামলায় ঢালাও আসামি করা নিয়ে পুলিশের অসহায়ত্বের কথা স্বীকার করেছেন।

তিনি বলেন, “একটা সময় থানার ওসি মামলার অভিযোগ শুনে লিখে সই-স্বাক্ষর নিতেন। পাকিস্তান আমল অথবা তার আগে এমন হতো। এখন যেহেতু শিক্ষিতের হার বেড়েছে, সবাই নিজের হাতে লিখে নিয়ে আসেন। যখন একজন বাদী লিখে নিয়ে আসেন, তখন আমাদের আইন অনুযায়ী এর বাইরে আমরা যেতে পারি না।

“আমাদের সেটা মামলা হিসেবে নিতে হয়। সেটা সত্য না মিথ্যা- সেটা যাচাই করার আমাদের কোনো সুযোগ নেই। উনি অভিযোগ যেটা দেন, এক্সাক্টলি সেটাই মামলা হিসেবে নিয়ে নিতে হয়। এরপর তদন্তে গিয়ে আমরা দেখি কতোটা সত্য আর কতোটা মিথ্যা।”

এক্ষেত্রে ‘নিরীহ আসামিরা’ যাতে বাদীপক্ষের প্ররোচনায় না পড়ে পুলিশের কাছে যান, সেই পরামর্শ দিয়েছেন তিনি।